১০ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুরে সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারি করে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির অভিযোগে ইউনিয়নের ডিলার ও সাবেক ইউপি সদস্য কে আটক করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত ।
আজ বুধবার চরনাছিরপুর ইউনিয়নের হতদরিদ্র কার্ডধারীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে ইউনিয়নের ডিলার মোঃ করিম মোল্যা চাউল বিক্রি করে। অভিযোগ পেয়ে উপজেলার চরনাছিরপুর ইউনিয়নের প্রত্যান্ত দুর্গম চরাঞ্চলের শিমুলতুলী বাজারে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী হাকিম পূরবী গোলদার।
খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাউল অতিরিক্ত মূল্যে হতদরিদ্রদের নিকট বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ইউনিয়নের ডিলার মোঃ করিম মোল্যা কে আটক করা হয়। ভুক্তভোগীদের স্বাক্ষী ও অভিযোগের সত্যতা পায় ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযুক্ত ডিলার করিম মোল্যা কে আটক করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪০ধারায় এ কারাদন্ড দেয় আদালতের নির্বাহী পূরবী গোলদার।
জানা গেছে, হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৭৮ বস্তা চাউলের মধ্যে ১৭৮ বস্তা চাউল অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করে।
আজ বুধবার সকালে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর জন কার্ডধারীদের নিকট থেকে ৩০কেজি চাউলের তিনশত টাকার জায়গায় ৩২০টাকা করে নেওয়ায় হতদরিদ্ররা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে মুঠোফোনে জানায়। একাধিক অভিযোগ পেয়ে প্রত্যান্ত দুর্গম অঞ্চলে ছুটে যান ইউএনও। ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এবং তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে দন্ড দেন। আদালত শেষে ফরিদপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত হলেন ওই ইউনিয়নের মৃত মঙ্গল মোল্যার পুত্র ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ করিম মোল্যা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূরবী গোলদার বলেন, করোনা ভাইরাসে হতদরিদ্রদের জন্য ওএমএস ১০টাকা কেজি চাউল বিক্রি হচ্ছে। আমাদের প্রতিটি ইউনিয়নে এ কার্যক্রম চলমান আছে। ওই ইউনিয়ন থেকে হতদরিদ্রদের নিকট অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি হতদরিদ্ররা আমাকে মুঠোফোনে জানান। ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।