১০ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুর-৪ আসনে রাজনৈতিক তৃনমূল মাঠে সাংসদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন রিপন হাওলাদার। বয়সে তরুন হলেও মিলে মিশে কাজ করেছেন সব বয়সের মানুষের সাথে। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝে নেতার আদর্শকে বুকে ধারন করে রাত দিন পরিশ্রম করে রাস্তায় রাস্তায় আর মিছিলের শ্লোগানে মুখরিত ছিলো রিপনের প্রতিচ্ছবি। সদরপুরের ফেসবুক প্রচারনায়ও সক্রিয় কর্মী হিসাবে স্থান করে নিয়েছিল রিপনের পোষ্ট গুলো। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছিলো চার দিকের রাজনৈতিক পরিবেশও সগারম হয়ে উঠে ছিলো। জেলে কুমার,তাতি,রিক্সাওয়ালা,দিন মজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল স্বতন্ত্র সাংসদের ভালোবাসায়। অবহেলিত ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা,সদরপুর ও চরভদ্রাসন নদী ভাঙন কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আধুনিক সদরপুরের রুপকার পুরুষ হিসাবে মাদারীপুরের শিবচর থেকে আগত হয়েছিলেন একজন প্রান পুরুষ অবহেলিত মানুষের স্বপ্ন পুরুষ হিসাবে মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। ঝড়,বৃষ্টি,বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রত্যান্ত চরাঞ্চলবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এছাড়াও তিনি প্রত্যান্ত দুর্গম,খানাখন্দ ও পশ্চাদ এলাকা পায়ে হেটে আজ করেছেন উন্নয়নের এক উজ্জল সমীকরণ দৃষ্টান্ত উদাহরন। ৪৭বছরের বছরের অবহেলিত ফরিদপুর-৪ এর জনপদ কে নিয়ে গেছেন উন্নয়নের মহা সড়কে।
একাদশ নির্বাচন ঘনিয়ে এলে ‘কর্মীবান্ধব’ শব্দের প্রচার ও প্রসার নিয়ে নানা মহলে বেশ কথাবার্তা হয়েছিল। যে নেতা কর্মীবান্ধব, যিনি কর্মীদের সুখে দুঃখে নিজেকে সঁপে দেন, তিনি দলের আদর্শ নেতা। কর্মীদের এমন নেতাই চাই। সব মুশকিল আসানের জন্য কর্মীবান্ধব নেতাই কর্মীদের ভরসাস্থল। গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতার গুণ-কীর্তন প্রচার করা নেতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন রিপন ও ছিলেন সাদামাঠা আর মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। নেতার আদর্শে নেমে পড়েন নির্বাচন মাঠে প্রচারনার জন্য। দিনরাত প্রচারনায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় সে সময় রিপন কে। নিজের মেধা মননশীলতা ও সততা দিয়েই সাধারণের মধ্যে ওয়ে ওঠে একজন অসাধারণ নিক্সন চৌধুরীর কর্মী রিপন।
একজন সত্যিকারের নেতাকে দেখলে এই যুগেও রাজনীতির প্রতি মানুষের আগ্রহ জন্মে। মানুষের মধ্যে রাজনীতিমুখিতা তৈরি হয়। অন্তর থেকেই নেতার প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয়। যেমন জম্মেছিল মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের জন্য সর্ব শ্রেনির মানুষের।
রিপনের পাশাপাশি আরেকজনও ফেসবুক প্রচারনায় মুখরিত ছিলো। রিপন ও আমাদের মাসুদ ভাই। তৃনমৃল এলাকার হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষদের মুখের ভাষা বলিষ্ট আকারে তুলে ধরে ছিলেন বাতায়নের দুনিয়ায়। বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল ও হয়ে থাকে। ব্যাঙ্গাত্বক পরিবেশের মধ্যেও আপন সত্ত্বায় আপন মনে নেতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে একের পর এক কালজয়ী ভিডিও প্রকাশ করে থাকে। যাদের কথা কোনোদিন প্রকাশ পেতো না তাদের সেই প্রিয় নেতার ভালোবাসার ভিডিও ক্লিপগুলো দেখতে পেত সাধারণ মানুষ মাসুদ হাওলাদারের আইডি থেকে। রিপনের ও আমাদের বড় ভাই মাসুদ। এখন রিপনের স্বাস্থ্যসেবার নিবিড় পর্যবেক্ষনে রয়েছে।
হঠাৎ নির্বাচনের সক্রিয় প্রচারনা কালক্ষেপন হলো রিপনের ওপর। নির্বাচনের একদিন আগে প্রিয় নেতার বাড়ি থেকে ফেরার পথে। আব্দুল্লাবাদ মোড় এলাকায় রিপনের উপর শুরু হলো বর্বর নির্মম হামলাযজ্ঞ। শরীরে মাথার ও কানের অংশে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে লুঠিয়ে পড়ে রিপন। রক্ত ও রক্তাক্ত শরীরের ওপর ও চালায় পৈশাশ্চিক হামলা। ওর সাথে আরও একজন কে রক্তাক্ত করে দৃবৃর্ত্তরা। শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতে আঘাতে করে ক্ষত। না ফেরার দেশ থেকে সৃষ্টিকর্তার কৃপায় প্রানে বেঁচে যায় রিপন। গুরুতর ক্ষত অবস্থায় রিপন কে উদ্ধার করে ফরিদপুর পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া ওকে। বেশ কিছুদিন পার হলেও এখনো পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেনি রিপন। এত শারিরিক অবস্থার অবনতির মধ্যেও প্রিয় নেতার সিংহ কে জয়ী করতে ভোট কেন্দ্রে আসে এ্যামব্রোলেন্সযোগে। ভোট দিয়ে পুনরায় হাসপাতালে ফিরে যায়। কি অন্যায় করেছিল সাদামাঠা আর সহজ সরল রিপন? রিপনের আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও রাগ ক্ষোভ জম্ম নেয়। সাধারণ মানুষ ভোটের মাঠে তার জবাব দেয় সঠিকভাবে। উন্নয়ন আর মূল্যয়নের নেতা যেমন নিক্সন চৌধুরী ও তার একজন নিবেদিত কর্মী রিপনের জন্য প্রতিটি মানুষের হৃদয় জুরে তৈরি হয় ভালোবাসাও সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়ার প্রার্থনা। যে দোয়ার কারনে বেঁচে আছে রিপন ও জয়ী হয়েছে রিপনের প্রিয় নেতা মুজিবুর রহমান চৌধুরীর নিক্সন।