১০ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের চরব্রাক্ষন্দী গ্রামে মলত্যাগ মজুদখানা সেফটি ট্যাংকি পরিস্কার করতে গিয়ে স্বামী স্ত্রী দুজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, চরব্রাক্ষন্দী গ্রামের মৃত রাশেদ হাওলাদারের সৌদি প্রবাসী পুত্র মোঃ মিরাজ হাওলাদার(৪৫) ও মিরাজের স্ত্রী চায়না বেগম(৩৫)। স্ত্রী চায়না বেগম সদরপুর উজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের আমিরাবাদ চৌরাস্তা গ্রামের কলম শিকদারের মেয়ে। প্রায় বিশ বছর আগে তাদের বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। নাম হ্নদয় হোসেন। সে ফরিদপুর ইয়াছিন কলেজের শিক্ষার্থী। মিরাজ হাওলাদার সংসারের দারিদ্রতা দূরীকরণ করতে প্রায় ৮বছর যাবত প্রবাসী ছিলেন। গত দুই মাস পূর্বে প্রবাস জীবন থেকে একেবারেই দেশে চলে আসেন।
এলাকা সুত্রে জানাগেছে, আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাড়িতে নতুন ভাবে তৈরি করা হয় ১০থেকে ১৫ ফুটের একটি মল মজুদ রাখার পাকা সেফটি ট্যাংকি। ওই ট্যাংকির ভিতরে থাকা বাঁশ কাঠ সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রথমে মিরাজ হাওলাদার ট্যাংকির ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে স্ত্রী চায়না বেগম স্বামীকে উদ্ধার করতে একই ট্যাংকিতে নামে। পরে তিনিও স্বামীকে উদ্ধার চেষ্ঠা করতে গিয়ে গ্যাস আক্রান্ত হয়ে পড়ে। বাবা মার খোজ না পেয়ে তার ছেলে হ্নদয় হোসেন(১৮) সেফটি ট্যাংকির কাছে গেলে বাবা মার করুন অবস্থা দেখতে পায়। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাদের কে ওই ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রুবানা আফরোজ বেরা তাদের কে মৃত বলে জানান। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের মাতম বিরাজ করছে। দুই পরিবারের কান্নার রোল পড়ছে। শত শত এলাকাবাসী করুন এই মৃত্যু দেখে নির্বাক হয়ে পড়েছে।
ঘটনার সত্যতা জানিয়ে সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, আমি সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক হাসপাতালে ছুটে যাই। নিহতের পারিবারিক ভাবে দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি শোকার্ত পরিবার কে শান্তনা দিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূরবী গোলদার জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখ জনক। আমি প্রশাসনিক কাজে বাইরে রয়েছি। সদরপুরে গিয়ে ওই পরিবারের বাড়িতে যাবো। তিনি শোকার্ত পরিবার কে শান্তনা জানিয়েছেন এবং তাদের পরিবারের পাশে দাড়ানোর আশা ব্যক্ত করেছেন।