১৫ মে ২০২৪, বুধবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাইশরশি শিব সুন্দরী একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটির দাতা ভোটার সদস্য ফরম সংগ্রহ আজ ২৮শে ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে।
এ বছর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির জন্য দাতা ভোটারের জন্য তিনটি আবেদনপত্র ক্রয় করে আবেদনকারীগন। এরা হলেন কাজী শফিকুর রহমান, সৈয়দ শাহিন আলম(শাহাবুর), মোঃ রইচ উদ্দিন আহম্মেদ।
দাতা ভোটার সদস্য আবেদনপত্র ফি বিশ হাজার টাকা। অপরদিকে বিদ্যালয়ের আজীবন ভোটার সদস্য হওয়ার জন্য একাডেমি কর্তৃক ২লক্ষ টাকা ধার্য্য করে নোটিশ জারি করা হলেও ওই পদের জন্য ফরম সংগ্রহের শেষ দিনেও কেউ ক্রয় করেননি।
আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে দাতা ভোটার সদস্য পদের জন্য বিদ্যালয়ের রশিদে এক দাতার নাম সংগ্রহ না থাকলে ওই বিষয় নিয়ে হট্টগোল দেখা দেয়। পরে ওই বিষয় ঘিরে বিদ্যালয় সভাকক্ষে ক্রয়কৃত সদস্যদের ক্ষোভের মুখে পড়েন প্রধান শিক্ষক। তোপের মুখে পড়ে পরে ওই সদস্যর নাম প্রকাশ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ বারেক মিঞা। তিনি জানান ওই সদস্যদের নাম কাজী শফিকুর রহমান। সে বিদ্যালয়ে টাকা জমা দিয়েছেন কিন্তু আদায়কারী ওই টাকা রেজিষ্টারে অন্তভুক্ত করে নাই।
অপরদিকে ওই রেজিষ্টারে দেখা যায়, কাজী শফিকুর রহমানের অর্থ দেওয়া থাকলেও তা বিদ্যালয় রেজিষ্টারে জমা হয় নাই। এছাড়াও বিদ্যালয়ের আবেদনকারীর ক্রয়কৃত রশিদ ও পাওয়া যায়নি। পরে তড়িঘড়ি করে প্রধান শিক্ষক ওই রশিদ খুজে বের করেন ওই রশিদ। পরে তিন সদস্যদের একটি নামের তালিকা বিদ্যালয়ের প্যাডে তার স্বাক্ষরিত কাগজ তুলে দেন সদস্যদের নিকট।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বলেন, এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে তিনটি আবেদনপত্র ক্রয় করা হয়েছে। আরও কোনো সদস্য পদে কেহ রয়েছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, তিন জন ব্যতিত কেহ নাই। যদি কেহ দাবী করে তাহা অবৈধ।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি পারুলী আক্তার, বিদ্যালয়ের নির্বাচিত সদস্য দেলোয়ার জমাদ্দার, আবুল কালাম মাতুব্বর, স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে মোঃ এনামুল ফকির, সরোয়ার সরদার, মোঃ মিল্লাত হোসেন, কালাম মাতুব্বর,মানিক চোকদার, মামুন মিয়া প্রমুখ।