৬ মে ২০২৪, সোমবার | বাংলা কনভার্টার
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাজি শফিকুর রহমানকে দলীয় শৃঙ্খলার ভঙ্গে দায়ে দল থেকে বহিস্কারে সুপারিশ করেছে জেলা আওয়ামীলীগ। তবে কাজি শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘কারা তাকে দল থেকে বহিস্কারের কি সুপারিশ করেছে তাতে তার কিছু যায় আসে না।’
ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেনের স্বাক্ষরিত দলের কেন্দ্রেীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বরাবার লিখিত পত্রে জানা যায়, গত ৪ জানুয়ারী সদরপুর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সাধারণ সম্পাদক কাজি শফিকুর রহমানের বহিস্কারের সুপারিশ করে তা জেলা আ.লীগের নেতাদের নিকট পাঠানো হয়। জেলা আওয়ামীলীগ গত ১০ জানুয়ারী সদরপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদকে এ ব্যাপারে কারন দর্শাতে বলেন। এর জন্য ১৫ দিনের সময় বেধে দেওয়া হয়। উক্ত সময়ের মধ্যে কারন দর্শানোর কোন জবাব না পেয়ে গত ২৭ জানুয়ারি জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথ স্বাক্ষরিত একটি সুপারিশপত্র বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের নিকট পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, দলের সদরপুরের সাধারণ সম্পাদক দলীয় বিধি অমান্য করে স্বতন্ত্র এমপি মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীকে ফুল দিয়ে তার সঙ্গে যোগদান করেন। এটি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বিধায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় তাকে বহিস্কারের সুপারিশ করে জেলা কমিটিকে অবহিত করে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, চলমান সময়ে সদরপুরের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকবেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফকির এ ছত্তার।
এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আবু আলম রেজা বলেন, গত ৪জানুয়ারি আমরা উপজেলায় একটি বর্ধিত সভা করে সম্পাদকের বহিস্কারের জন্য জেলা কমিটির নিকট সুপারিশপত্র পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সদরপুর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়্যারম্যান কাজি শফিকুর রহমান বলেন, সদরপুরে ৪জানুয়ারি উপজেলা আ.লীগের কোন বর্ধিত সভা হয়নি। কোথায় সভা করে কারা কি সিদ্ধান্ত নিল সেটা তিনি জানে না। তিনি বলেন, জেলা কমিটির কাছ থেকে তিনি কোন শোকজ নোটিশ পাননি।
উপজেলা পরিষদ চেয়্যারম্যান কাজি শফিকুর রহমান আরও বলেন, গত ২৪ জানুযারি সদরপুর, ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের নির্বাচিত স্বতন্ত্র সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী উপজেলা পরিষদে আসেন। সেদিন উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তিনি ও ইউএনও তাকে একজন সাংসদ হিসেবে বরণ করি।
কাজি শফিকুর রহমান আরও বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই কথিত এ বহিস্কারের নাটক সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট সদরপুর উপজেলা আ.লীগের ১৫ সদস্য মারা গেছে, চারজন অসুস্থ হয়ে আছেন। বাকি ৪৮জন সদস্যদের মধ্যে ৩৩জন আমাকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছেন। সে সুপারিশ সম্বলিত চিঠি আমি কেন্দ্রে জমা দিয়েছি।
কাজি শফিকুর রহমান বলেন, উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেন দলীয় প্রদান শেখ হাসিনা। একমাত্র শেখ হাসিনাই আমাকে বহিস্কার করতে পারেন। তিনি বলেন, কারা তাকে বহিস্কারের কি সুপারিশ করলো তাতে তার কিছু যায় আসে না।