৩ মে ২০২৪, শুক্রবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাড়ে সাতরশি(চৌদ্দরশি)বাজারের ১৩টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দোকানঘর আগুনে পুড়ে ছাউ হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থদের মুদি, মিষ্টি, কাপড়, পলিথিন, চাউল, কাঁচামাল, স্বর্ণ,গোডাইনসহ পৃথক পৃথক ব্যবসা অগ্নিকান্ড এলাকায় ছিলো। এদের অধিকাংশ দোকান মালিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতেন বলেও ক্ষতিগ্রস্থরা জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকরা হলেন, আওয়াল মুন্সী, চিত্ত বনিক, নরেশ সাহা, করিম মুন্সী, গোবিন্দ্র বনিক, পরান সাহা, রামকৃষ্ণ বনিক, আমিনুর মুন্সী, লক্ষন সাহা, দুলাল সাহা, গোবিন্দ্র সাহা, শংকর সাহা, বেলায়েত হোসেন।
জানা যায়, আজ ভোররাত ৩টার দিকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে ৫টার দিকে আগুনের লেলিহান শিখা দোকান ঘরের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে বাজারে থাকা নৈশ প্রহরীরা টের পায়। পরে মাইকিং এর মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ওই সময় বাজারের আশেপাশের শত-শত লোকজন ছুটে আসে। অপরদিকে সদরপুর ফায়ার সার্ভিস কে খবর দিলে প্রথমে সদরপুর, পরে ভাঙ্গা,ফরিদপুর এর অগ্নিনির্বাপক টিম এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে নেয়।
৩টি ইউনিটের ৩০জন সদস্য কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্যে কাজ করে। প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে বলে জানান জেলা সিনিয়র ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুজ্জামান। তিনি আরও বলেন দোকানের মালামালের ক্ষয়ক্ষতি ও দোকানের তালিকা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আগুনের ক্ষতিগ্রস্থ দোকান নরেশ সাহার মিষ্টি তৈরির কারখানা থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের দাবী ১২টি দোকানে প্রায় দেড় কোটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ১৩টি পরিবারের লোকজন আগুনে পুড়ে ছাউ হওয়া ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানের দিকে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে। এছাড়াও পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন।
এ ব্যাপারে সকাল ৯টার দিকে সদরপুর ইউএনও পূরবী গোলদার ক্ষতিগ্রস্থ দোকানঘর পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।