২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার | বাংলা কনভার্টার
সদরপুরের পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ বিধৌত চরাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার কৃষক পরিবারগুলো এখন ব্যস্ত শীতকালীন নানা শাক সবজি চাষে। অল্প পুঁজিতে লাভ বেশী হওয়ায় মৌসুমী ফসল চাষে দিন দিন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এক সময় বছরে দুটি ফসল ঘরে তুলতেন সদরপুরের চাষীরা। কিন্তু লাভজনক হওয়ায় দিন দিন শীতকালীন শাকসবজি চাষের এলাকা বাড়ছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগুলোতে। অনেকেই ধান চাষের পাশাপাশি সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন। সংসারে এনেছেন স্বচ্ছলতা।
সবজি গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সদর উপজেলার চরনাছিরপুর,চরমানাইর,আকোটেরচর,চরনাছিরপুর ইউনিয়নের মৈজদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের আবুল মিয়া, আশরাফুল, মজিবর রহমানসহ অনেকে জানান, গত বছর তারা সকলেই লাউ,টমেটো চাষ করেছিলেন এবং সে সময় বাজার দর ভাল থাকায় ভাল লাভবান হয়েছেন।
গত ৪বছর ধরে সবজি চাষ করা সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের লাভলু মিয়া জানান,গত বছর তিনি ২বিঘা জমিতে বেগুন, ঝিঙ্গা, ফুলকপি চাষ করে প্রায় এক লাখ টাকা মুনাফা পেয়েছিলেন। তাকে দেখে প্রতিবেশী অনেকেই এখন ঝুঁকছেন সবজি চাষে।
সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই হাসি মুখেই ক্ষেত পরিচর্যায় নেমে পড়ছেন কৃষাণ-কৃষাণী। লাউ, ফুলকপি, বাঁধা কপি, বেগুন, শিম, শরিষা, ধনেপাতা, লাল শাক, পালং শাকসহ বিভিন্ন প্রকারের শাক সবজির ক্ষেতে সেচ দেয়া,আগাছা নিড়োনোর কাজ করছেন পরিবারের সবাই মিলে।
কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী এলাকার আব্দুর রহমান জানান, গত বছরের লাভের অভিজ্ঞতায় এবারও তিনি ৪বিঘা জমিতে লাউ, শিম,মরিচ ও ফুলকপির চারা লাগিয়েছেন। এবারও ভাল ফলন ও লাভের আশা করছেন। তবে লাভের আশায় ফুলকপি, লাউ, বেগুন, শিম, পালং, ধনে পাতা, লাল শাকসহ বিভিন্ন রকমের শাক সবজি চাষ করলেও দাম নিয়ে জেলার কৃষকদের কন্ঠে রয়েছে অনিশ্চয়তার সুর।
এছাড়া সবজি চাষে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি সহজ শর্তে কৃষি ঋণ চান বন্যা-খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ জয় করে টিকে থাকা জেলার কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় এবার শীতকালীন শাক সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা না হলেও গত বছর ২হাজার ২শ ৫০হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছিল।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায়, উপজেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা এবার কাঙ্খিত লাভে ফসল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা তাঁর।