৪ মে ২০২৪, শনিবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিষিদ্ধ নেট জাল ও বাঁধা জাল দিয়ে গলদা চিংড়ি মাছের রেনু পোনা আহরন চলছে। এছাড়াও নদে অবাধে মশারি জাল, বিহিন্দী ও কারেন্ট জাল দিয়ে নির্বিচারে চিংড়ির রেনু পোনা (গলদা চিংড়ি) নিধনের মহোৎসব চলছে। এ সব রেনু পোনা ধরতে গিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছের রেনু পোনা ধ্বংস হচ্ছে প্রতিদিন। অভিযোগ রয়েছে এসব নিষিদ্ধ রেনু পোনা কিছু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে নিরাপদ হিসেবে সড়ক ও নদী পথ দিয়ে বড় বড় ড্রাম কিংবা পাতিল ভর্তি করে অন্য জেলায় চালান করছে একটি দালাল চক্র। ফলে জলজ প্রাণির ওপর মারাতœক প্রভাব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভরা মৌসুমে এক শ্রেনীর মধ্যস্বত্বভোগী মহাজন মৌসুমী জেলেদের দিয়ে রেনু পোনা আহরন করছে। একটি সূত্র জানায় এ মৌসুমে লক্ষ লক্ষ টাকার বানিজ্য মিশন চলবে রেনু পোনা নিধনে।
প্রতি বছর এ সব নদ-নদীর ও খালে নিষিদ্ধ নেট জাল ও বাধা জাল দিয়ে পোনা ধরতে আসা জেলেরা মৌসুম ভিক্তিক অস্থায়ী বসতি ঘর তুলে রেনু পোনা আহরন করছে। উপজেলার বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখা গেছে প্রতিদিন বহু নেট জাল পেলে আর চড়ে টানা জাল দিয়ে রেনু পোনা ধরছে।
পদ্মা- আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, জেলেরা মশারি জাল ও বিহিন্দী জাল দিয়ে রেনু পোনা (গলদা চিংড়ি) ধরছে। প্রতিবার জাল ফেলে সাত থেকে আটটি চিংড়ির রেনু পোনা পেলেও তার সাথে উঠে আসছে টেংরা, পোয়া, কাতলাসহ অন্য প্রজাতির মাছের পোনা। চিংড়ি পোনা আলাদা করে মাটি ও অন্যান্য পাত্রে জিইয়ে রাখলেও অন্য প্রজাতির মাছের পোনাগুলো ডাঙায় অথবা চরে ফেলে দেওয়ায় সেগুলো মারা যাচ্ছে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা জানান, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নদপাড়ের কিছু অসাধু জেলে চক্র অন্য জেলার জেলেদের দিয়ে বিহিন্দী জাল, মশারী জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে এসব রেনু পোনা নিধন করাচ্ছেন দেদারছে।
সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, চরনাছিরপুর, দিয়ারা নারিকেল বাড়ীয়া, চরমানাইর তিন ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামে নদ ভাঙনের অংশদিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী দালাল চক্রের মাধ্যমে জেলেদের কাছ থেকে রেনু পোনা ক্রয় করে তা বড় বড় ড্রাম ভর্তি করে প্রতিদিন বিভিন্নস্থানে চালান করছেন।
এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা আক্তার পান্নার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।