৩ মে ২০২৪, শুক্রবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর হাজিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী কাজলকে অপহরন ও যৌন নির্যাতন মামলার অভিযুক্ত আসামীদের পক্ষে চর সুলতানপুর গ্রামের মাতুবর আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মামলার বাদী প্রবাসী শহিদুল মন্ডল সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন। তাদের হুমকি ধামকিতে ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন ।
জানা গেছে, গত ৪জুলাই বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করে স্থানীয় গাজীরটেক ইউনিয়নের চরহাজিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী কাজল ও রেখার পিতা।
ওই অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে এলাকার কিছু বখাটে তাদেরকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করে আসছিল। গত ৩০ই জুন দুবোনের একজন তার ভাইয়ের মোটরসাইকেলে চড়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বখাটেরা তাকে হাত ধরে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তার ভাই রাশেদুল বাধা দিলে উক্ত ইউনিয়নের বেপারী ডাঙ্গী গ্রামের চিহ্নিত বখাটে মিজান, তয়ুবুর, আকমাল, রাজু, রনি, রাশেল, ইমরান বেপারী ও আইয়ুব খালাসী পিটিয়ে আহত করে বখাটেরা। ৪ঠা জুলাই এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানায় একটি মামলা হয়েছে মামলা নং ০৩ ।
স্থানীয়দের ও পরিবারের সদস্যদের দাবি বখাটেদের শাস্তি ও নিরাপদে কিশোরী দ্ইু বোনের পড়ালেখার সুযোগ করে দিবে প্রশাসন।
দুই কিশোরীর মা বলেন, বখাটেদের ভয়ে আমরা ঠিকমত বাড়ীর কাজ কর্মও করতে পারছি না। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
চরহাজিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আযাদ আবুল কালাম বলেন,স্কুলে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ প্রয়োজন। বখাটেদের অত্যাচারে মেয়েরা স্কুলে আসতে পাড়ছে না। তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে, এটা প্রত্যাশা করি প্রশাসনের কাছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, ওই বখাটেরা প্রায়ই স্কুলের আশে-পাশে অনেক অন্যায়ের কাজ করে থাকে । রাশেল,আইয়ুর,রাজু,ইমরান,চরভদ্রাসন থানায় হত্যা,চাঁদা বাজি,ছিনতাইয়ের মত একাধিক মামলার আসামী । কেউ ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। কারন স্থানীয় প্রভাবশালী মাতুব্বররা তাদের আশ্রয় দেয়।
এদিকে অভিযুক্ত মাতুবর আবুল কাশেম মাস্টার জানান, উভয় পক্ষ আমাদের আপন মামলা হলে উভয় ক্ষতিগূস্থ হবে । তাই আপোশ মিমাংসার চেষ্টা করেছি । আমি বাদীর সাথে খারাপ আচারন করেছি এটা সঠিক নয় ।
এদিকে ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে ৫ই জুলাই বিকালে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন ও অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্টদের।