২০ মে ২০২৪, সোমবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ভাইসহ কারাগারে গেলেন আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন ফকির। আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিল্লাল হোসেন ফকির ও তাঁর ভাই ইনজামামুল হক জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে জেলা জজ মো. হেলালউদ্দিন এ আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিল্লাল হোসেন ফকির ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান। তাঁর ভাই ইনজামামুল হক ওরফে মিঠু ফরিদপুর জজ কোর্টের একজন আইনজীবী।
প্রসঙ্গত গত ১৬ এপ্রিল কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের হাটকৃষ্ণপুর বাজারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান পক্ষ এবং তার প্রতিপক্ষ আখতারুজ্জামান ওরফে তিতাস মিয়া এর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটনা। এ সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন আখতারুজ্জামানের সমর্থক পাশের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের মান্নান সিকদার। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বোরহান সিকদার গত ১৭ এপ্রিল বাদী হয়ে সদরপুর থানায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলাদায়ের করেন। এ মামলার এজাহাভুক্ত আসামি ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা বিল্লাল হোসেন ফকির ও তাঁর ভাই ইনজামামুল হক। এ মামলার পর বিল্লাল হোসেন ফকির ও তাঁর ভাই হাইকোর্ট থেকে দুই মাসের জন্য অন্তবর্তিকালীন জামিন নেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ হতা মামলার বাদী বোরহান সিকদারের কৌসুলী মো. শহীদুল্লাহ জাহাঙ্গীর প্রতিবেদক কে বলেন, হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আজ বুধবার দুপরে আ.লীগ নেতা ও তাঁর ভাই ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু জেলা জজ তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আদালত থেকে দুই ভাইকে জেল হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত গত ১৬ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলোর দুয়ের পাতায় ‘ফরিদপুরে ১৪৪ ধারার মধ্যে সংঘর্ষ, নিহত ১’ শিরোনামে এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়।