২০ মে ২০২৪, সোমবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুর বাইশরশি শিব সুন্দরী একাডেমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কালাম মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মানববন্ধন করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১১টায় সদরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় লিখিত আকারে প্রতিবাদ পত্র পত্র পাঠ করেন বাইশরশি শিব সুন্দরী একাডেমী বিদ্যাপীঠের প্রাথমিক শাখার ব্যবস্থাপনা ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য কালাম মাতুব্বর। তিনি ওই পত্রে জানান, গত ২৩জুন প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারেক মিঞা একাডেমীর শিক্ষকদের নিয়ে সভা করে আমার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম কে গালিগালাজ ও শারিরীক লাঞ্ছিত করার ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে তার স্বার্থ হাসিল ও আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে একাডেমী চত্ত্বরে আমার বিচার দাবী করে মানববন্ধন করে। তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে আরও বলেন, আমি সহকারি শিক্ষক সাইফুল ইসলাম কে গালিগালাজ ও শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেনি।
বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট। তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরেও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। অনিয়ম হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন একামেডীর শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান করার নামে একাধিকবার চাঁদা উত্তোলন করে অনুষ্ঠান না করা। টাকার বিনিময়ে পাঠ্য পুস্তুক নির্ধারন করা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট হইতে পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় করা। নৈশ প্রহরী মোঃ ইউসুফকে চুরি অপবাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারেক মিঞা কতিপয় সদস্য মীর আরশাফ আলী দরিদ্র নৈশ প্রহরী মোঃ ইউসুফকে চাকুরীচ্যুত করা। পরবর্তীতে দুর্নীতি ও অনিয়ম এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মীর আরশাফ আলীর ভাতিজাকে নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেয়। মোটা অংকের টাকায় বিনিময়ে বেশ কয়েকজন মেধাবী প্রার্থীকে বাদ দিয়া বাংলায় রিপাট পাওয়া মোঃ সাইফুল ইসলামকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয়া। এস.এস.সির ফলাফল খারাপ, বিভিন্ন ফলজ গাছের ফল বিক্রি করে একাডেমীর তহবিলে জমা না দিয়ে আতœসাৎ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষক লাঞ্ছিত ঘটনায় তিনি বলেন, গত ১৯জুন একটি প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আমি মোবাইল ফোনে একাডেমীর সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলামের নিকট জিজ্ঞাসা করিলে সে জানায় যে, একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটিতে যাহারা গ্রাজুয়েশন আছে তাদের দুইজন প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করিয়াছি। এর পর মোবাইল ফোনে আমার সাথে শুধু কথাকাটি হইয়াছে।
একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারেক মিঞা বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ায় আমি শিক্ষক কর্মচারি পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করি। এছাড়াও বিদ্যালয়ে এ নিয়ে মানববন্ধন হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে। তাহার আনিত অভিযোগ, মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম, ছাত্র অভিভাবক সদস্য আঃ ছত্তার মাতুব্বর, মোঃ এনামুল হক, অবসর প্রাপ্ত সৈনিক মোঃ মিল্লাত হোসেন,মোঃ জামাল, মোঃ ধলা মিয়াসহ শতাধিক গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।