২০ মে ২০২৪, সোমবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপদাহে অতিষ্ট জনজীবন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে পড়লেও কমছে না রোদের উত্তাপ। যেন তাপদাহে পুড়ছে জেলা উপজেলা শহর। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভ্যাপসা গরম। বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় ভ্যাপসা এই গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তবে রোদের এই উত্তাপ ও গরমকে উপেক্ষা করেই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন শহরবাসী। শ্রমজীবী মানুষদেরও পেটের দায়ে বাড়ির বাইরে বের হতে হচ্ছে।
আজ সোমবার ছিলো এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গতকাল ও আজ আটত্রিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বেড়ে দাড়িয়েছ। প্রায় ঈদের আগে থেকেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় আসে। সূর্যের উত্তাপের তীব্রতা দেখে বুঝা যাচ্ছে, নগরীতে এ তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। ভ্যাপসা গরমে মাঝে মধ্যে হালকা বৃষ্টি হলেও গরমের তীব্রতা কমছে না। গরমে শিশু,কিশোর,যুবক ও বৃদ্ধদের অসহনীয় দুর্ভোগ বাড়ছে। ইতোমধ্যে গরম ঠান্তাসহ একাধিক রোগ দেখা দিয়েছে।কৃষকরা তাদের ফসলক্ষেতে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে। কৃষক আঃ কাদের হোসেন বলেন, এত রোদের তাপ যে মনে হচ্ছে গায়ের চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। রোদের কারণে বাইরেই বের হওয়া যাচ্ছে না। আমিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা সোবহান উদ্দিন বলেন, এত রোদের তাপ মনে হচ্ছে আগুনের তাপদাহ কোথাও শান্তি নাই। গরমে জীবন অতিষ্ট হয়ে পড়ছে।
ষাটোর্ধ্ব রিকশাচালক ফজল জানান, রোদের কারণে রিকশা চালাতে তার খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু জীবন ও জীবিকার তাগিদে তাকে রিকশা নিয়ে বাইরে বের হতে হয়েছে। খানিকক্ষণ রিকশা চালান তারপর বিশ্রাম নেন। এইভাবেই তিনি রিকশা চালাচ্ছেন বলে জানান। অপরদিকে এই ভ্যাপসা গরমে গবাদি পশু হাকিয়ে উঠছে। এছাড়াও গাছের ফলমূলসহ বিভিন্ন সবজি রোদে পুড়ে যাচ্ছে।