২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুরে হঠাৎ করেই মরিচের দাম কমেছে অনাকাঙ্খিতভাবে। এর ফলে হতাশায় পড়েছেন চাষিরা। উৎপাদন খরচ তুলতে পারবেন কিনা সঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের মাঝে।
এতদিন ক্রেতাদের অস্থিরতা থাকলেও বর্তমানে এই অস্থিরতা ও ক্ষতির মুখে পড়েছে চাষিরা। প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করে চাষিরা পাচ্ছে ২০-৩০টাকা।
এবারে প্রথম থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ে মরিচের আবাদ। মাঝখানে কিছুটা দাম ভালো পাওয়ায় চাষিরা আশায় বুক বেঁধে ছিল। চারা লাগানোর সময়ে ব্যাপক বৃষ্টি,খেতে অজানা মোড়ক, প্রলম্বিত খরা এবং বর্তমানে দাম না থাকায় উৎপাদন খরচ উঠা নিয়ে চাষিদের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবার পাইকারি বাজারে ক্রয়কৃত মরিচ খুচরা বাজারে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।
গতবার দাম ও উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গত মৌসুমের অর্জনের চেয়ে বেশি জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। এবারে আবাদ করা হয়েছে ৫৫হেক্টর। এবছর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬৫হেক্টর। শিলাবৃষ্টি, খরা, মোড়ক ও অপরিমিত বৃষ্টিতে মরিচ উৎপাদন ব্যাহতের মধ্যে ভাটা পড়েছে দামে। মাসখানেক আগেও মরিচ খেতের যতেœ ব্যস্ত সময় পার করেছেন চাষিরা। দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা যতœ নিচ্ছেন না খেতের।
সদরপুর উপজেলার কৃষি শ্রমিক নাইমুদ্দিন জানান, দাম কমে যাওয়ায় মরিচ উঠানোতে খেতের মালিক আসেননি।
জেলার সদরপুর উপজেলার একাধিক মরিচ চাষি ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর কাঁচা মরিচের দাম ভালো থাকায় চাষিরা এবার ব্যাপক জমিতে মরিচ রোপণ করেছেন। গতবার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মরিচের দাম ভালো ছিল। শুরুতে ২৫থেকে ৩০টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়ে একপর্যায়ে তা ৯০থেকে ৯৫ টাকায় ওঠে। এরপর উঠে ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। সেবার দামের পাশাপাশি ফলনও ভালো হয়। তবে এ বছর এসে শুরুতেই হোচট খেয়েছে চাষিরা। বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আশায় বুক বেঁধেছিল চাষিরা।
গতকাল সদরপুর বাজার,শৌলডুবী বাজার,মজুমদার বাজার,বাঁধানো ঘাট এলাকায় পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মরিচের দাম ছিল ২০-২৫ টাকা। অথচ প্রতি কেজি মরিচ খেত থেকে উঠাতে খরচ হচ্ছে ১০-১৫ টাকা। প্রতি কেজির ভাড়া ২টাকা এবং খাজনা (টোল) ১টাকা। হিসেব করলে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করে খেত মালিকের থাকছে ১০-১৫ টাকা।
এ বিষয়ে জেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র রায় বলেন, লক্ষ মাত্রার চেয়ে আবাদের পরিমান বেশী রয়েছে। প্রকৃতির ওপর নির্ভর করেই কৃষি আবাদ হয়ে থাকে।