www.sadarpurkhobor.com

৫ মে ২০২৪, রবিবার | বাংলা কনভার্টার

শিরোনাম:

“জাতীয় সম্পদ রক্ষা করবো,ইলিশ সম্পদ বাড়াবো” একজন ম্যাজিষ্ট্রেট খসরু বদলে দিলেন সদরপুরের পদ্মা নদী


 মো.সাব্বির হাসান.    ২৩ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১:৩৩    জাতীয়


অভিযানের ফাঁকে তোলা ছবি


ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদীতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর সাড়াশি অভিযানে জেলেরা নদী ছেড়ে পালিয়ে ঘরমুখী হচ্ছেন। নদীর বিভিন্নস্থানে অভিযানের তাড়া খেয়ে জেলেরা নদী তীরে নৌকা জাল রেখে পালিয়ে যাচ্ছে। দিনরাত নদীতে অভিযান অব্যাহত রাখায় মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশে ইলিশ সম্ভাবনার দুয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। অভিযানের কারনে নিধনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে লক্ষ লক্ষ মা ইলিশ। দিনরাত কঠোর পরিশ্রমে পুরো নদীর রুপ বদলে দিয়েছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আফরোজ শাহীন খসরু। বয়সে তরুন হওয়ায় উদ্যমতা কাজে লাগিয়ে রক্ষা করছেন বেপরোয়া রাক্ষুসে জেলেদের হাত থেকে মা ইলিশ।
রক্ষা পাওয়া একেকটি মা ইলিশের পেটে প্রায় ১৫থেকে ২০লক্ষ ডিম রয়েছে। নদীতে বিদ্যমান থাকা ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে লোনা পানি থেকে পদ্মা নদীর মিঠা পানিতে এসেছে। এই নিরাপদ মৌসুমে সঠিক ভাবে ডিম ছাড়তে পারলে আগামী বছরে দেশে ইলিশ থাকবে সবার হাতের নাগালে। “জাতীয় সম্পদ রক্ষা করবো, ইলিশ সম্পদ বাড়াবো” এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে তিনি নদীতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি উপজেলা মৎস্য অফিসার বাপি কুমার দাশ দু’জন ও সঙ্গীয় বাহিনী নিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে নদী পাহাড়া দিচ্ছেন। বলা চলে গত ৫দিন ধরে নদীতেই তার কর্ম সংসার। তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করে পুরো নদীর ইলিশ শিকার শাসন ব্যবস্থায় তিনি একজন সফল নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগের মত এখন আর ইলিশের জন্যে নদী পাড়ে ইলিশ ক্রেতাদের ভিড় নেই। নদী পাড়ের কয়েকটি ঘাট এলাকায় কঠোর অভিযানে মোবাইল কোর্টের ভয়ে সেই সব ঘাটেও নেই ইলিশ ক্রেতারা।
উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন বেষ্টিত পদ্মা নদী। প্রায় দুই হাজার মৌসুমী জেলেরা এ বছর নতুন জাল, নৌকা তৈরি করেছিলেন মা ইলিশ শিকারের জন্যে। প্রথম দিকে অভিযান দল নদী থেকে উঠে আসার পর-পরই বেপরোয়া জেলেরা তাদের ইলিশ শিকারের সামগ্রী নিয়ে নদীতে নামতেন। আবার অভিযানের টের পেলে নদী থেকে পালিয়ে যেতেন।
গত ১৯ অক্টোবর তারিখ থেকে ইলিশ রক্ষার্থে কঠোর অবস্থানে নদীতে নামেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম আফরোজ শাহিন খসরু। নদীতে দিনরাত অভিযানের জন্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। একদল উঠে আসার পর পরই আরেক অভিযান দল নদীতে নামছেন। জেলেরা ওই সাড়াশি অভিযানের মুখে পড়ে কোনঠাসা হয়ে পড়ে। তার অভিযানে প্রতিনিয়ত জেলে আটক হয়। সাথে জাল,নৌকা জব্দ করা হয়।
এই নির্বাহী হাকিমের সাড়াশি অভিযানে এ পর্যন্ত ৮৯জন জেলে, ২লক্ষ ৫৬হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ১১৮কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। আটককৃত জাল নদী পাড়ে পুড়ানো হয়। ওইসব জালের মূল্য প্রায় ২০লক্ষ টাকা। জব্দকৃত ইলিশ মাছ উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।  
আকোটের চর ইউনিয়নের বাবলু খাঁ মৌসুমী জেলে বলেন, প্রায় ২লক্ষ টাকা খরচ করে নৌকা জাল বানিয়ে ছিলাম। এ বছর এত কড়াকড়ি থাকার কারনে নদীতে নামতেই পারছি না। আরেক জেলে ওহাব মাদবর বলেন, গোপনে দু এক খ্যাও দিলেও মাছ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। নদীতে জাল ফেলতে ফেলতেই ম্যাজিষ্ট্রেট এসে পড়ে। তাদের ধাওয়া খেয়ে নদী থেকে পালাতে হয়। ওই সময় নদীর ¯্রােতেই জাল ভেসে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক জেলে বলেন, আমার এক ছেলে ধরা খেয়েছেন। ৮দিনের জেল হয়েছে। এ পর্যন্ত আমাদের প্রায় ১৫জন লোকের জেল হয়েছে। বাড়িতে পুরুষ মানুষ নেই। বর্তমানে অভিযান বেশী হচ্ছে।
ঘাটে আসা ইয়াকুব নামের এক ইলিশ ক্রেতা জানান, প্রথম একবার ইলিশ কিনে নিয়ে ছিলাম। সকাল থেকে অপেক্ষা করছি কোনো নৌকা আসছে না। যা আসছে তাতে ইলিশ নেই।






 


সংবাদটি এ পর্যন্ত পড়েছেন   1153   জন পাঠক

 আরও খবর


















সর্বাধিক পঠিত

শুদ্ধাচারে ফরিদপুরের সেরা ইউএনও হলেন সদরপুরের পূরবী গোলদার
সদরপুরে সেফটি ট্যাংকিতে প্রান গেল স্বামী স্ত্রীর
ফরিদপুরে র‌্যাবের হাতে মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ কামাল হাওলাদার,মেহেদী হাসান ফয়সাল, মোঃ টুলু চৌধুরী আটক
সদরপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে ১৩জেলে কে ১বছর করে কারাদন্ড, নদী থেকে ৮কিশোর আটক
একজন নিক্সন প্রেমি রিপনের রক্তের দাগ...........
সদরপুরে ক্লাশ চলাকাশে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো নবম শ্রেণির ছাত্রী
সদরপুরে সাপের কামড়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
সদরপুরে চাউল বিক্রির অনিয়মে ডিলারের জেল
সদরপুরে ট্রাকের চাকায় নিহত হলো স্কুল ছাত্র সজীব
সদরপুরে মোটর সাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য আটক-স্থানীয় সংঘবদ্ধদের নাম প্রকাশ