www.sadarpurkhobor.com

৫ মে ২০২৪, রবিবার | বাংলা কনভার্টার

শিরোনাম:

সদরপুরে অস্থায়ী হাট বসিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ইলিশ


 নিজস্ব প্রতিবেদক    ১৭ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার, ২:৫৫    জাতীয়


সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে সুযোগ পেলেই ইলিশ শিকার করছেন জেলেরা। পরে তা নদ তীরে এনে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন ওই মাছ কিনতে নদের অস্থায়ী হাটে ভিড় করছেন। চরনাছিরপুর ইউনিয়নের নবাবের ঘাট থেকে মঙ্গলবার দুপুরে তোলা ছবি


ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৭থেকে ৮টি পয়েন্টের অস্থায়ী ইলিশের হাট বসিয়ে মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ওইসব অস্থায়ী হাটে শত শত ইলিশের ক্রেতা উপস্থিত হন। ছোট ছোট বাজারের ব্যাগে করে ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরছে বিভিন্ন শ্রেনির লোকজন।
এছাড়াও দেখা যায় পদ্মা নদীতে প্রায় শতাধিক নৌকা ইলিশ শিকার করছে। শিকার শেষে ওইসব জেলে নৌকা নদ তীরে ভিড়ছে। নদ-তীরের অস্থায়ী হাটে বসে জেলেরা প্রতি কেজি ইলিশ ৩শ থেকে ৪শ টাকা দরে বিক্রি করছেন। ইলিশের ট্রে দেখে ভিড় করছে হাটে থাকা শত শত মানুষ। ক্রেতারা ১০কেজি ২০কেজি করে মা ইলিশ ক্রয় করে কাঁশ বনের মধ্য দিয়ে বাড়ি ফিরছে।
এ দৃশ্য মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিনে দেখা যায়, সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকার অব্যাহত রয়েছে। নদী থেকে আহরনকৃত ইলিশ বিক্রির জন্য নদীর তীর ঘাট এলাকা গুলোতে দিন রাতের বিভিন্ন সময় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। জেলেরা নদী থেকে মাছ শিকার করে নদ পাড়ে এনে বিক্রি করছেন।
অস্থায়ী হাট সর্ম্পকে দেখা যায়, আকোটেরচর ইউনিয়নের হাট আকোটেরচর, কালিখোলা বাজারের পিছনে, চরনাছিরপুর ইউনিয়নের নবাবের ঘাট, মোল্যা কান্দি, ঢেউখালী ইউনিয়নের শয়তানখালী, দিয়ারা নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের তোতা খার ঘাট, কাড়াল কান্দি, হাওলাদার কান্দি, এলাকায় অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। সেখানে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদী থেকে মা ইলিশ শিকার করে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। ওই ঘাটে পাইকারী খুচরা মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। ঘাটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


মৎস্য অধিপ্তর সুত্রে জানা যায়, বর্তমানে ইলিশের প্রজনন মৌসুম চরছে। এ মৌসুমে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্যে নোনা পানি থেকে মিঠা পানিতে আসে। এ সময় পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশের আগমন ঘটে। মা ইলিশ সংরক্ষনের জন্য সরকার গত৭থেকে ২৮অক্টোবর নদীতে সব ধরনের জাল ফেলা নিষিদ্ধ করেছে। নিষেধাজ্ঞার ২২দিন ইলিশ আহরন,বিপনন,মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কারাদন্ড  ও জরিমানার বিধান রয়েছে।  মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসন,মৎস্য অধিদপ্তর একটি ট্যাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। গত ১০দিনের অভিযানে ৮২জনআটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৭জন কে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও ৫জন কে ৫হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১লক্ষ ৩৮হাজার মিটার জাল জব্দ করে আগুনে পোড়ানো হয়েছে।
তবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে অনেক স্থানে দিন ও রাতের বেলায় ইলিশ শিকার চলছে। মঙ্গলবার হাওলাদার কান্দি,নবাবের ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইলিশ ক্রয় করতে পদ্মা পাড়ে লোকজন অপেক্ষা করছে। কিছুক্ষন পর পর  জেলেরা নৌকা  নিয়ে তীরে আসছেন। মাছ বিক্রির পর আবার নদীতে মাছ ধরতে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা থেকে পুরো নদীতে কোনো অভিযান চালাতে দেখা যায়নি। নবাবের ঘাটে কথা মুনসুর আলী নামের এক জেলের সাথে। সে বলেন, নদীতে অভিযান চলে,ভয়ে ভয়ে মাছ ধরতে হয়। বছরের অন্য সময়ে নানা ধরনের মাছ ধরি। এবছর প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করে জাল ও নৌকা বানিয়েছি। নদীতে যে মাছ পাই তা পাড়ে এসে বিক্রি করে যাই।
আরেক জেলে ওহাব খাঁ, বলেন আজ অভিযান না থাকায় কয়েক খ্যাও দিয়েছি। এতে প্রায় মন খানেক মাছ পেয়েছি। সাড়ে তিন’শ টাকা দরে বিক্রি করেছি। নদী পাড়ে ক্রেতাদের ভিড় বেশী থাকলে দাম বেশী পাওয়া যায়। ক্রেতা কম থাকলে দাম ও কম পাওয়া যায়। ইলিশ কিনতে আসা আরিফ হোসেন জানান, সস্তায় ইলিশের দাম শুনে কিনতে এসেছি। ১০কেজি কিনেছি সাড়ে তিন’শ টাকা করে। রাস্তায় ঝামেলা হয় তাই গোপনে কাঁশবনের মধ্যদিয়ে যেতে হবে।
সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাপি কুমার দাশ বলেন, পদ্মা নদীর সীমানা অনেক রয়েছে। নদ অভিযান শেষ করে আসার পর পরই অসাধু জেলেরা নদীতে নেমে ইলিশ মাছ ধরছে। নদীতে একাধিক অভিযান দল না থাকার কারনে জেলেরা সুযোগ পাচ্ছে। যদি দুইটি অভিযান দল করা হলো। তাহলে মৎস্য শিকার বন্ধ করা যেত। জনবল ও নৌযান ব্যবস্থা স্বপ্লতার কারনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমি সার্বিক  ভাবে ইলিশ শিকার বন্ধের জন্যে কাজ করছি।

 

 


সংবাদটি এ পর্যন্ত পড়েছেন   1110   জন পাঠক

 আরও খবর


















সর্বাধিক পঠিত

শুদ্ধাচারে ফরিদপুরের সেরা ইউএনও হলেন সদরপুরের পূরবী গোলদার
সদরপুরে সেফটি ট্যাংকিতে প্রান গেল স্বামী স্ত্রীর
ফরিদপুরে র‌্যাবের হাতে মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ কামাল হাওলাদার,মেহেদী হাসান ফয়সাল, মোঃ টুলু চৌধুরী আটক
সদরপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে ১৩জেলে কে ১বছর করে কারাদন্ড, নদী থেকে ৮কিশোর আটক
একজন নিক্সন প্রেমি রিপনের রক্তের দাগ...........
সদরপুরে ক্লাশ চলাকাশে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো নবম শ্রেণির ছাত্রী
সদরপুরে সাপের কামড়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
সদরপুরে চাউল বিক্রির অনিয়মে ডিলারের জেল
সদরপুরে ট্রাকের চাকায় নিহত হলো স্কুল ছাত্র সজীব
সদরপুরে মোটর সাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য আটক-স্থানীয় সংঘবদ্ধদের নাম প্রকাশ