www.sadarpurkhobor.com

৫ মে ২০২৪, রবিবার | বাংলা কনভার্টার

শিরোনাম:

অভিযান বাড়নো দরকার নদীতে সদরপুরের পদ্মা নদীতে সুযোগ পেলেই ইলিশ শিকারে জেলেরা


 নিজস্ব প্রতিবেদক    ১৩ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার, ৭:৪৬    জাতীয়


পদ্মা নদীর শয়তানখালী এলাকায় জেলেদের ইলিশ শিকারের চিত্র



        ইলিশ রক্ষার্থে একাধিক অভিযান দল,
সীবোর্ড, ট্রলার দ্রæতযান ব্যবস্থা বাড়ানো দরকার
       ক্ষতিতে ইলিশ জেলেদের নদে কাটা জালে জড়িয়ে মরার দায়ে


ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদে অসাধু জেলেরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুযোগ পেলেই নদীতে মা ইলিশ শিকারের জন্যে নদীতে নামছেন। নদীতে সব সময় অভিযান না থাকায় জেলেরা অবৈধ কারেন্টজাল দিয়ে ইলিশ শিকার করছেন।
ইলিশের এই প্রজনন মৌসুমে নির্বিঘেœ যেন ডিম ছাড়তে পারে, সেজন্য ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে ২২দিন। কিন্তুু সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও থেমে নেই ইলিশ শিকার। সুযোগ পেলেই ইলিশ শিকার করছে জেলেরা।
পদ্মার চরাঞ্চলের দুর্গম চর এলাকা সংলগ্ন পদ্মা নদীতে অনেকটা গোপনেই জেলেরা ব্যস্ত থাকে ইলিশ শিকারে। আবার প্রকাশ্য বাজারে বিক্রি করতে না পারায় তাদের পাড়ে থাকা লোক দিয়ে কম টাকায় বিভিন্ন শ্রেনি ইলিশ লোভী মানুষের কাছে বিক্রি করছে শিকারকৃত ইলিশ।
নিধনকৃত মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দেড়শ’ টাকা দরে কেজি। সস্তা দামে ইলিশের লোভে বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন জড়ো হচ্ছে পদ্মা পাড়ের কাঁশবনের ঝোপেঝাপে। ব্যাগ বোঝাই করে ইলিশ ক্রয় করে মোটর সাইকেল অটোযোগে বাড়ি ফিরছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত ৭ই অক্টোবর থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর ইলিশ শিকার সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।  নিষিদ্ধ মৌসুমে ইলিশ শিকার বন্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে পদ্মায়। কিন্তু পদ্মা নদীর সীমানা বৃহৎ থাকায় অভিযানের ট্রলার একদিক থেকে অপরদিকে যেতে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টা সময় লেগে যায়। অসাধু জেলেরা এরই মধ্যে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে কৌশলে গভীর রাতে ও খুব ভোরে পদ্মার বিভিন্ন এলাকায় ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে। এছাড়াও ইলিশের জাল নদীতে ফেলে কৌশলে জালটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পানিতে লুকিয়ে রেখে মাছ শিকার করতে ও দেখা যায়।
দিয়ারা নারিকেল বাড়িয়া ও আকোটের শয়তানখালী এলাকার চর সংলগ্ন পদ্মা নদীতে জেলেরা ইলিশ শিকার করে থাকে। চরাঞ্চলের এই পদ্মার পাড়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুচরা বিক্রি হয় দেখা যায়।
জেলেদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বিভিন্ন সোর্স এর মাধ্যমে অভিযানের সংবাদ পাওয়া যায়। তাছাড়া সব সময় ইলিশ পাওয়া যায় না। এখন এক ঘন্টা নদীতে জাল ফেললেই সহজেই ইলিশ পাওয়া যায়। অনেক সময় ধরা খেয়ে জেলেও যেতে হয়।
আরও জানা যায়, নদীতে একাধিক অভিযান না থাকার সুযোগে জেলেরা খন্ডকালিন সময়ে নদীতে নেমে পড়ে। এছাড়াও ছোট ছোট নৌকায় বড় ইঞ্জিন ব্যবহার করছে। তাদের গতি দ্রæত থাকায় অভিযানের ট্রলার দেখলেই তারা ইঞ্জিন চালু করে দ্রæত গতিতে জাল ফেলে পালিয়ে যায়। তাদের নদীতে ফেলানো অবৈধ কারেন্ট জালে জড়িয়ে পড়ে ইলিশ। এতে প্রচুর পরিমান ইলিশ ডিম না ছাড়তে পেরে নদীতেই মারা যাচ্ছে।
মা ইলিশ রক্ষার জন্যে পদ্মা নদীতে সীবোর্ড, একাধিক অভিযান দল অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
এ ব্যাপারে সদরপুর মৎস্য কর্মকর্তা বাপি কুমার দাশ বলেন, নদীতে অব্যাহত অভিযানের জন্য একটি সীবোর্ড অত্যান্ত দরকার। জেলেদের ধরতে আমরা চেয়ে নৌযান ব্যবহার করি তার চেয়েও তাদের গতি অনেক বেশি। তিনি আরও জানান, আমি দিনরাত নদীতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
 















সংবাদটি এ পর্যন্ত পড়েছেন   839   জন পাঠক

 আরও খবর


















সর্বাধিক পঠিত

শুদ্ধাচারে ফরিদপুরের সেরা ইউএনও হলেন সদরপুরের পূরবী গোলদার
সদরপুরে সেফটি ট্যাংকিতে প্রান গেল স্বামী স্ত্রীর
ফরিদপুরে র‌্যাবের হাতে মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ কামাল হাওলাদার,মেহেদী হাসান ফয়সাল, মোঃ টুলু চৌধুরী আটক
সদরপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে ১৩জেলে কে ১বছর করে কারাদন্ড, নদী থেকে ৮কিশোর আটক
একজন নিক্সন প্রেমি রিপনের রক্তের দাগ...........
সদরপুরে ক্লাশ চলাকাশে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো নবম শ্রেণির ছাত্রী
সদরপুরে সাপের কামড়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
সদরপুরে চাউল বিক্রির অনিয়মে ডিলারের জেল
সদরপুরে ট্রাকের চাকায় নিহত হলো স্কুল ছাত্র সজীব
সদরপুরে মোটর সাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য আটক-স্থানীয় সংঘবদ্ধদের নাম প্রকাশ