৫ মে ২০২৪, রবিবার | বাংলা কনভার্টার
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ আরও প্রবল ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যার মাঝামাঝি এলাকায় প্রচণ্ডভাবে আছড়ে পড়েছে এ ঘূর্ণিঝড়’। ভারতীয় কলকাতাভিত্তিক কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অন্ধ্র-উড়িষ্যা উপকূলে তিতলি আঘাত হানে।
অন্যদিকে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে খুলনা উপকূলীয় এলাকায় 'তিতলি' আঘাত হানতে পারে বলে খুলনা আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন অংশের আকাশে মেঘের ঘূর্ণি দেখা যাচ্ছে। সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে।
গতকাল আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছিল- ঘূর্ণিঝড় তিতলি বুধবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা থেকে ৮১৫ কিলেমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।