২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুরে অপচিকিৎসার দায়ে এক হারবাল ডাক্তার কে আটক করেছে সদরপুর থানা পুলিশ। আটককৃত ওই চিকিৎসকের নাম মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন উজ্জল। সে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদি খান উপজেলার গোয়াখোলা গ্রামের মৃত আঃ হাই খানের পুত্র। কয়েক মাস পূর্বে সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের বাবুরচর বাজারের পাশে একটি মেহেদী লাজিম ব্যানার্জী ঔষুধালয় (হারবাল চিকিৎসা) কেন্দ্র গড়ে তোলে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বিক্রয়সহ নানা রোগের চিকিৎসা করতেন। পাপিয়া খান হৃদি নামের এক রোগীর অভিভাবক অপচিকিৎসার শিকার হয়ে সদরপুর থানায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে সদরপুর থানা পুলিশ তাকে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আটক করে নিয়ে আসে। জানা গেছে, ঢেউখালী ইউনিয়নের বাবুরচর কাচারী ডাঙ্গী গ্রামের আনসার খাঁর ৯ম শ্রেনিতে অধ্যায়নরত মেয়েকে গত এক সপ্তাহ আগে ওই চিকিৎসকের কাছে চর্ম রোগের আরোগ্য লাভের জন্যে নেওয়া হয়। ওইসময় চিকিৎসক তোফাজ্জেল হোসেন উজ্জল তাকে চর্ম রোগের জন্যে প্যাটরোন ফার্মাসিউক্যালস কোম্পানীর স্ক্যানোস্যাভ ৫০০মি.লি.ক্যাভসুল নামের ঔষধসহ ব্যবস্থাপত্র দেন। ৭দিন ঔষুধ সেবনের পর চিকিৎসার অবনতি হলে ছাত্রীর বাবা পুনরায় বাবুরচর বাজারের এক পল্লী চিকিৎসক মোবারেক হোসেনের নিকট নেওয়া হয়। পরে তিনি পূর্বের চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও ঔষুধ দ্যাখেন। ওই সময় সেবনকৃত ঔষধের মেয়াদ উর্ত্তীন রয়েছে বলে সে জানান এবং দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। অসুস্থ্য অবস্থায় ওই ছাত্রীকে সদরপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ঘটনায় চিকিৎসক মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন উজ্জল এর হারবাল চিকিৎসাখানা ও তাকে আটক করে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে সদরপুর থানা পুলিশ ওই চিকিৎসক কে থানা হেফাজতে নেয়। এ ব্যাপারে সদরপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আবুল কালাম জানান, এ ব্যাপারে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। সদরপুর হাসপাতালে চিকিৎসারত পাপিয়া খান হৃদি বলেন, আমি ওই ডাক্তারের ঔষধ খাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার শরীরে ব্যাথা রয়েছে। অভিভাবক আনসার খাঁ বলেন, এ ব্যাপারে আমি ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। আশা করি প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। এ ব্যাপারে সদরপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মোঃ ফরিদ আহম্মেদ বলেন, রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।