৫ মে ২০২৪, রবিবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের চর চাঁদপুর ইসমাইল সেকের ডাঙ্গী গ্রামের মৃত শেখ ইউসুফ আলীর ছেলে শেখ গোলাম কাওছার (৫২) কে প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর।
আসামী শেখ গোলাম কাওছার ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা এলাকায় অবস্থিত লতিফুন্নেছা রেসিডেনসিয়াল কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় উক্ত কলেজের অনুমোদন পাওয়ার পর কলেজের কোড নম্বর পায় ৫১৩৬। কিন্তু আসামী শেখ গোলাম কাওছার প্রতারনামূলকভাবে তার নিজ এলাকা ভাষানচর, সদরপুর, ফরিদপুর এলাকায় গিয়াসউদ্দিন খান কলেজ স্থাপন করে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষে ইং ০১/০৭/২০১৭ তারিখ হতে জালিয়াতির মাধ্যমে লতিফুন্নেছা রেসিডেনসিয়াল কলেজ এর কোড নম্বর ৫১৩৬ ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করে। এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা ভাষানচর এলাকায় গিয়াসউদ্দিন খান কলেজে ভর্তি হলেও সার্টিফিকেট পাবে টেপাখোলা এলাকায় অবস্থিত লতিফুন্নেছা রেসিডেনসিয়াল কলেজ থেকে। বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন ব্যতীত কলেজ স্থানান্তর আইনের পরিপন্থি বলে আসামী স্বীকার করে। এছাড়া আসামী শেখ গোলাম কাওছার লতিফুন্নেছা রেসিডেনসিয়াল কলেজ এর বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হাফেজ রফিকুল ইসলাম (৪২) বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার মামলা নং-৫৯ তাং-১৯/০৭/২০১৮ খ্রিঃ ধারা-৪০৬/৪২০/৪৬৫/৩৮০ পেনাল কোড দায়ের করেন। পিবিআই ফরিদপুর স্ব-উদ্যোগে অত্র মামলার তদন্তভার গ্রহন করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পিবিআই, ফরিদপুর জনাব কানাই লাল সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) তপন কুমার ঢালী সহ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৯ ঘন্টা ব্যাপি অভিযান চালিয়ে রোববার সকাল অনুমান ০৯:০০ ঘটিকার সময় আসামী শেখ গোলাম কাওছার (৫২) কে ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার তার নিজ গ্রাম চর চাঁদপুর ভাষান ইসমাইল সেকের ডাঙ্গী হতে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী শেখ গোলাম কাওছার অত্র মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আছে বলে স্বীকার করলে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়্। বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাসুদ আলী ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।