www.sadarpurkhobor.com

৫ মে ২০২৪, রবিবার | বাংলা কনভার্টার

শিরোনাম:

পুরুষের চেয়ে নারী তালাকের সংখ্যা বেশী-সদরপুরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ


 মো.সাব্বির হাসান.    ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, রবিবার, ১:৪৯    জাতীয়


 


স্বামীকে না দেখে মোবাইলে বিয়ে,
বয়সের পার্থক্য, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ,পারিবারিক কোন্দল, পরক্রিয়া,
মতানৈক্যর কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে বিবাহ বিচ্ছেদ!


মোঃ সাব্বির হাসান.
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২০১৮সালের ৯মাসের এক অনুসন্ধানে দেখাগেছে পুরুষের চেয়ে নারী তালাক(একতরফার)পরিমান বেশী। বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে তালাক প্রাপ্তরা বিভিন্ন কারনও ব্যাখ্যা করেছেন। কারন গুলোর মধ্যে তালাক,বিবাহ বিচ্ছেদ ও পরক্রিয়া প্রেমে আসক্ত রয়েছে। ওই কারণে সমাজে প্রতিনিয়ত অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে। তালাকের কারণ হিসাবে মাদকাসক্ত,বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, স্বামীর দীর্ঘদিন প্রবাসী হওয়া,পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হওয়াকে প্রধানত দায়ী রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছেন।
তালাকের প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিবাহগামী বর কনের অভিভাবকরা প্রশাসনের ঝামেলা এড়াতে গোপনে একটি চক্রের মাধ্যমে কোর্ট এফিডেফিডের দ্বারস্থ হচ্ছে। কিছু অসাধু চক্রের অর্থলোভের কারনে বাল্যবিবাহ ও বহু-বিবাহের জম্ম হচ্ছে গ্রামাঞ্চলে। এর কারনে বিবাহ উপযোগী না হয়েও বিয়ের পিঁড়িতে বসে স্বামী স্ত্রী( নবদম্পতির) মতানৈক্যর কারনে সংসারে অশান্তি এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে।
তারা আরও জানান, বর্তমানে গ্রাম পর্যায়ে মাদক সেবনকারীদের হার দিন দিন বেড়ে যাওয়ার কারণে ভাঙছে ১০-২০বছর আগের সাজানো সুখের সংসার।
কেনো টিকছে না সংসার এমন বিষয়ে জানা যায়, লেখাপড়া না জানা অশিক্ষিত অনেক পরিবারের ছেলেরা প্রবাস থেকে এসে স্কুলের অষ্টম থেকে দশম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের বিবাহ করে থাকেন। বিয়ের মাস তিনেক পর স্বামী প্রবাসে চলে যায়। এরপর কয়েক বছর পার হলেও স্বামীর দেশে ফেরা নিয়ে সংশয়ে পড়ে গৃহবধু। এরপর গোপনে পরক্রীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে। পরক্রীয়ার কারনে সংসারের সামান্য ঝগড়া-ঝাটি থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়িয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সচিবদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি মাসেই স্থানীয় বিবাহ নিবন্ধক কাজীদের দ্বার বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত নোটিস আসে। বেশির ভাগ নোটিশগুলো হচ্ছে তালাকের। তিনি আরও বলেন স্বামী, স্ত্রী, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বরাবরে ও কোর্ট থেকে নোটিশ দেয়। ব্যাপারটি উদ্বেগজনক হলেও সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমাসে ৫-৬টি দ¤পতির বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে।
অপর দিকে আরও দেখা যায়, গত কয়েক বছর ধরে সদরপুর উপজেলায় ১২-১৬বছরের কিশোরীরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারির কারনে গোপনে কোর্ট এফিডেভিটের আশ্রয় নিচ্ছে কিছু অসাধু চক্র। পরিবারে কম বয়সী মেয়েদের মতের প্রাধান্য না দেওয়ায় স্কুলগামী কিশোরীরা পরিবারে তাদের বিয়ে প্রতিরোধ করতে পারে না। এরপর বিবাহিত ওই কিশোরী সংসার কি এ নিয়ে সংশয়ে পড়ে যায়। বাল্যবিবাহের কবলে পড়া অধিকাংশ কিশোরীই স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী। বরের অর্থবিত্ত দেখে কনের বাবা-মা বয়স এবং সহশীলতার ব্যাপারে কোন প্রকার চিন্তা না করে তাদের মেয়েদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দিচ্ছে। এছাড়া অনেক পরিবারের ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজ বা অন্য পেশায় থেকেও তাদের নিজের ইচ্ছায় ফোনালাপের মাধ্যমে অভিভাবকের সম্মতি ছাড়া (নোটারী পাবলিক)হলফনামা মূলে বিয়ে করছে।

অপরদিকে ইউনিয়ন বিবাহ নিবন্ধক ওরফে কাজীদের সূত্রে দেখা যায়, প্রতিমাসে বিভিন্ন কারণে ৫-১০টি তালাক হচ্ছে। এ সমস্ত তালাকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নিম্ন আয়ের কন্যা সন্তানের পরিবার ও তাদের সন্তানরা। আবার কিছু কিছু এলাকায় এমনও ব্যক্তি আছে যার একাধিক বউ রয়েছে। অসাধুও নারীলোভী ব্যক্তিরা বিয়ে করতে দেরি নেই, আবার তালাক দিতেও দেরি নেই। তারা আরও জানান ইদানিং এমন কিছু বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে, তাও নজরে পড়ার মত। তা হচ্ছে, দীর্ঘদিন স্বামী প্রবাসে থাকার কারনে। তাদের স্ত্রী’রা কম বয়সী ছেলেদের সাথে অবৈধ স¤পর্ক স্থাপন করে স্বামীকে তালাক দিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করছে। আবার স্বামীর মাদক হিসাবে ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়ে র্দীঘদিন কারাগারে থাকার কারণে স্বামীকে তালাক দিচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে উপজেলায় প্রতিমাসেই বেশ দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে।
এ ব্যাপারে আরও জানা যায়, সুশীল সমাজ ও স্থানীয় বয়োজ্যেষ্টদের অভিমত উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীরা বাল্য বিবাহে আবদ্ধ হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা সঠিক বয়স নির্নয় না করে অনেক সময় জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ড করিয়ে দেয়। আবার বিবাহের কাগজপত্র সংগ্রহ করতে জেলা উপজেলার বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানে গিয়ে অন্য অভিভাবকের পরিচয়পত্র জাল করে নতুন কাগজপত্র তৈরি করে নেয়। যার কোনো তথ্য থাকে না অনলাইনে এমনকি যাদের সীল,সহি ব্যবহার হয় তারাও জানেন না। ওই সমস্ত তথাকথিত কাগজপত্রের মূলে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করতে কোন বাধা থাকে না। উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীদের জন্ম নিবন্ধন বা ভোটার আইডি নেই তারা কোর্টে গিয়ে ভুয়া আইডি এবং জন্ম নিবন্ধন প্রদর্শন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র। এ সমস্ত বাল্যবিবাহ, বহু বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদের ব্যাপারে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সরকার কে কঠোর ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেওয়ার জন্যে দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।



তালাক প্রবনতার কারনে লক্ষ্য করা যায়, নারীর ক্ষমতায়ন ধ্বংসের পাশাপাশি দেশের গ্রামাঞ্জলসহ শহরে বেড়ে যাচ্ছে সংসার ভাঙ্গার হার। পুরুষের চেয়ে নারীরাই তালাকের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকার প্রবনতায় রয়েছে উপজেলায় কর্মজীবী শিক্ষিত নারীদের মধ্যেও বিবাহ বিচ্ছেদের হার দিন দিন বাড়ছে। শিক্ষিত ও পেশাজীবি নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বুদ্ধির সাথে সাথে ঠুনকো কারণে ভেঙ্গে যাচ্ছে তাদের পারিবারিক সংসার। এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত থাকলেও ক্রমবর্ধমান হারে বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদের সন্তানরা। দফায় দফায় তালাকের(একতরফার) মধ্যে প্রায় বেশীর ভাগই নারীর কাছ থেকে পাওয়া।
নারীদের মধ্যে অধিক হারে তালাক প্রবণতার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে মাদকসেবী স্বামীর নির্যাতন, স্বামীর সংসারের অস্বচ্ছলতা,শারীরিক অক্ষমতা,পরকীয়া প্রেম ও মতানৈক্যর কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তবে কখনও কখনও উচ্চবিত্ত সমাজে ঠুনকো কারণে নারীরা তাদের স্বামীদেরকে ছেড়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদ্য তালাক পাওয়া এক পুরুষ জানান,পুরুষরা নির্যাতনের কারণে স্ত্রীর সাথে মনের মিলের অভাবে,পরিবারের সদস্যদের চাপ, স্ত্রীর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং কখনও শুধুমাত্র রুচির পরিবর্তনের কারণে স্ত্রীরা স্বামীকে তালাক দিচ্ছে।
সদরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিবাহ রেজিষ্টার সূত্রে জানা যায়,২০১৮সালের জানুয়ারী থেকে আগষ্ট পর্যন্ত ১৮৩টি তালাক হয়েছে। সদরপুর ইউনিয়নে তালাক ২৯টি। এরমধ্যে নারীর একতরফা-১৩, পুরুষের একতরফা-১, যৌথ,১৫। চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ২৩টি। নারী-১৭,পুরুষ-২,যৌথ-৪। ঢেউখালী ইউনিয়নে ১৭টি। নারী-১০,পুরুষ-৩,যৌথ-৪। ভাষানচর ইউনিয়নে ২৫টি। নারী-১২,পুরুষ-১,যৌথ-১২। আকোটেরচর ইউনিয়নে ৪৩টি। নারী-২৮, পুরুষ-১৩,যৌথ-২। দিয়ারা নারিকেল বাড়ীয়া ইউনিয়নে ২০টি। নারী-১৪,পুরুষ-৩,যৌথ-৩। চরনাসিরপুর ইউনিয়নে ৪টি। নারী-১,পুরুষ শূন্য,যৌথ-৩। কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ২৪টি। নারী-১২,পুরুষ-২,যৌথ-১০। চরমানাইর ইউনিয়নে ১৬টি। নারী-৮,পুরুষ শূন্য,যৌথ-৮। ৯টি ইউনিয়নে নারীর এক তরফা এক’শ, পুরুষ এক তরফা ২৫টি ও দুই পরিবারের সম্বিলিত ৫৮ তালাক হয়। সব মিলিয়ে ৮মাসে উপজেলায় মোট ১৮৩টি তালাক হয়েছে।
ইউনিয়ন বিবাহ নিবন্ধক কাজীদের সূত্রে জানা যায়, পুরুষের থেকে নারীদের মধ্যে তালাকের নোটিশের সংখ্যা অনেক গুণ বেশি। শুধু শিক্ষিত নারীরা নয়। কম শিক্ষিত ও গরীব মেয়েদেরও ডির্ভোস হচ্ছে। কিন্তু তাদের ডির্ভোসের খবর পত্রিকায় ছাপা হয়না। ডির্ভোসের কারণ সর্ম্পকে জানতে চাইলে তারা প্রতিবেদক কে বলেন, বর্তমানে মেয়েরা শিক্ষিত ও সচেতন হচ্ছে। ফলে তারা স্বামীর কিংবা শ্বশুর বাড়ির খোটা কিংবা অত্যাচার সইতে চায় না। যার কারনে ডির্ভোসের হার বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে মধ্যবর্তী ও শিক্ষিত মেয়ে একেবারেই বাধ্য না হয়ে সাধারণত ডির্ভোস দেয় না।
তালাক পাওয়া একটি পরিবারের প্রধান জানান, সংসার ভাঙ্গার একটি অভিশাপ সংগত কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হবে তা ঠিক আছে। কিন্তু সন্তান থাকলে বাবা-মার উচিত যতটুকু সম্ভব সমঝোতা করে হলেও পরিবারকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা। কারণ পরিবার সভ্য সমাজের একটি মৌলিক এবং তৃণমূল প্রতিষ্ঠান যেখানে ভবিষ্যতের মানুষেরা বেড়ে উঠে। এর যথোপযুক্ত বিকল্প প্রতিষ্ঠান আমাদের আধুনিক সভ্যতা আজও উপহার দিতে পারেনি। একজন সন্তানের সুষ্ঠু শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য বাবা-মায়ের যৌথ আদরের কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারটি বাবা মা ছাড়া বড় হয়েছে এমন কাউকে জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে।
স্ত্রী কর্তৃক তালাক পাওয়া এক পুরুষ বলেন, স্ত্রী পুরুষকে তালাক দিলে পুরুষ নির্যাতিত হয়ে কোনো ভাবে আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে না। পুরুষ নারীকে তালাক দিলে নারী কোর্টে গিয়ে মামলা দায়ের করার সুযোগ পায়। এ ক্ষেত্রে নারীর চেয়ে পুরুষের তালাকের সংখ্যা কম থাকার একটি প্রধান কারন হিসাবে তিনি ব্যাখ্যা করেন।
নুরবানু(২৫)বলেন,তার স্বামীর সাথে প্রতিনিয়ত মনমালিন্য,ভুল বোঝাবুঝির কারনে তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি তার জীবন নিয়ে তেমন ভাবে স্বচছল নেই। তিনি আরও জানান তালাক দেওয়ার ব্যাপারে নারীদের অনেক সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
আরেকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকাশে বলেন, দীর্ঘদিন স্বামী কোনো খোজ খবর রাখেনা। এছাড়াও তিনি বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে তালাক দিয়েছেন।
আবুল বাশার(৩৫)বলেন, দীর্ঘদিন প্রবাসে জীবনযাপন করেছিলাম। স্ত্রী অন্যের সাথে পরক্রিয়া প্রেমে আসক্ত হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে আরেকজন নারী বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে ৯ম শ্রেনিতে পড়াশোনার সময়। আমার মতের কোনো প্রাধান্য দেওয়া হয় নাই। স্বামী বাহিরে চলে যাওয়ার পর আমাকে আর স্কুলে যেতে দেওয়া হয়নি। আমি বাহিরে আসতে চাইলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আসতে দিতো না। বিয়ের পর পরই সংসারের দায়িত্ব চাপানো হয় আমার উপরে। দিনভর কাজ করেও স্বামী সংসারের মন যোগাতে পারতাম। স্বামীকে কিছু বললেও সে তার পরিবারের পক্ষ নিয়ে কথা বলতো। বাধ্য হয়ে এক তরফা তালাক দেই।
এ ব্যাপারে চরনাসিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আক্কাচ আলী বলেন, আমাদের কাছে দুই পক্ষ অভিযোগ দিলে আমরা অনেক বোঝানোর চেষ্ঠা করি সংসার ধরে রাখার জন্যে। কিন্তু আমাদের কথা শোনে না।
ভাষানচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ছমির বেপারী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে পারিবারিক স্বামী স্ত্রীর কোন্দল নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। ইউনিয়ন কার্যালয়ে কয়েক দফা সালিশ বৈঠক করা হলেও স্বামী স্ত্রীর মাঝে সমঝোতা না থাকার কারনে তাদের  এক করা যায় না। ফলে তালাকের প্রবনতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এ ব্যাপারে আকোটেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল হক চৌধুরী মুরাদ বলেন, আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ পরিবারের প্রধানরা প্রবাসী রয়েছেন। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার কারনে স্বামী স্ত্রীর অভ্যান্তরিন  সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও পারিবারিক কোন্দলের জের ধরে তালাকের প্রবনতা বাড়ছে।
এ ব্যাপারে, চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিবাহ নিবন্ধক ওরফে কাজী মোঃ বোরহান উদ্দিন মিয়া জানান, স্বামী স্ত্রীর মাঝে কলহের জের ধরে তালাক একে অপর কে তালাক দিচ্ছে। অনেক সময় সন্দেহের কারন ও তালাক ঘটনার জন্যে দায়ী। নারী পুরুষ তালাক প্রশ্নে তিনি বলেন, পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশী তালাক দিচ্ছেন।
আকোটেরচর ইউনিয়নের বিবাহ নিবন্ধক ওরফে কাজী লুৎফর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নে অধিকাংশ নারীর স্বামীরা প্রবাসে থাকে। বছরের পর বছর দেশে ফিরেন না। এ নিয়ে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয় পরিবারের মাঝে। পরক্রিয়া প্রেমে আসক্ত হওয়ায় তার ইউনিয়নে তালাকের প্রবনতা বাড়ছে। উপজেলার মধ্যে তার ইউনিয়নে তালাকের সংখ্যা বেশী।
চরমানাইর ইউনিয়নের বিবাহ নিবন্ধক ওরফে সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, অল্প বয়সে পরিবারের প্রধানরা বিবাহ দেয় মেয়েদের। সংসারের বয়স হতে না হতেই তাকে রান্না ঘরে যেতে হয়। এ নিয়ে ওই কিশোরী পারিবারিক জামেলায় পড়ে যায়। স্বামী, শ্বশুর শাশুড়ী কোনো কিছুতেই সে পারতে অক্ষম হয়। এ নিয়ে সংসার জীবনে নানা জামেলা সৃষ্টি হওয়ার কারনেও তালাক দেওয়া হয়।




সংবাদটি এ পর্যন্ত পড়েছেন   1813   জন পাঠক

 আরও খবর


















সর্বাধিক পঠিত

শুদ্ধাচারে ফরিদপুরের সেরা ইউএনও হলেন সদরপুরের পূরবী গোলদার
সদরপুরে সেফটি ট্যাংকিতে প্রান গেল স্বামী স্ত্রীর
ফরিদপুরে র‌্যাবের হাতে মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ কামাল হাওলাদার,মেহেদী হাসান ফয়সাল, মোঃ টুলু চৌধুরী আটক
সদরপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে ১৩জেলে কে ১বছর করে কারাদন্ড, নদী থেকে ৮কিশোর আটক
একজন নিক্সন প্রেমি রিপনের রক্তের দাগ...........
সদরপুরে ক্লাশ চলাকাশে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো নবম শ্রেণির ছাত্রী
সদরপুরে সাপের কামড়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
সদরপুরে চাউল বিক্রির অনিয়মে ডিলারের জেল
সদরপুরে ট্রাকের চাকায় নিহত হলো স্কুল ছাত্র সজীব
সদরপুরে মোটর সাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য আটক-স্থানীয় সংঘবদ্ধদের নাম প্রকাশ