৫ মে ২০২৪, রবিবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এসআই হাবিব সহ উভয় দলের কমপক্ষে অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত সাত জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যান্যদের ভাঙ্গা ও রাজৈর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় আতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আজ শনিবার সকালে হাজরাকান্দা স্কুল মাঠে একদল ফুটবল খেলতে যায় অন্য দল বাধাঁ দেয় এ নিয়ে সংঘর্ষ বাধেঁ। মূলত এই গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়েই দুই গ্রæপের মধ্যে মাঝে মাঝে সংঘর্ষ লেগে থাকে। গ্রামবাসী সুত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহার দুদিন পর জুলহাস মেম্বার গ্রুপের ছেলেরা হাজরাকান্দা প্রাঃ স্কুল মাঠে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দলের নাম নিয়ে খেলে। সেই খেলায় গ্রামের অপরপক্ষ বুলবুল গ্রুপের ছেলেদের খেলাতে কাঊকে নেয়া হয়না। সেই জের ধরে বুলবুল গ্রুপ শনিবার সকালে ফুটবল খেলার ঘোষনা দিলে, জুলহাস মেম্বার গ্রুপ খেলায় বাধাঁ প্রদানের ঘোষনা দেয়। এ নিয়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঊভয় গ্রুপ সংগবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ঢাল,শড়কি,কাতরা,টেটা ও ইট পাটকেল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চালায়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ স্থানীয় দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এর মধ্যে বুলবুল গ্রুপের ২০জন ও জুলহাস মেম্বার গ্রুপের ৩০জন আহত হয়। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাইদুর রহমান বলেন, গ্রামটি ফরিদপুর,গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার বডার এলাকায় হওয়াতে পুলিশ গেলে সহজে পালিয়ে যায়। যার জন্য ঐ গ্রামটি খুবই বেপরোয়া ভাবে চলে। আমরা সব সময় গ্রামটি নিয়ে চিন্তিত থাকি। আজ সকালে সংঘর্ষ লেগেছিল এখন পরিস্থিতি শান্ত,এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখনও কোন পক্ষের অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।