২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনের মুখে পড়েছে মাদ্রাসা ও স্কুল। ভাঙন প্রতিরোধে একাধিকবার সরকারি ভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না চরাঞ্চলের শিক্ষা বিস্তার ও দ্বীন শিক্ষা এই প্রতিষ্ঠান গুলো। ভাঙনের চরম হুমকিতে আরও রয়েছে বসতভিটা।
উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়নে নতুন করে গত এক সপ্তাহ ধরে আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙন ভয়াল রুপ ধারণ করেছে। নদীগর্ভে এ পর্যন্ত বিলীন হয়ে গেছে ৬৫টি বসতবাড়ি। এছাড়াও ইউনিয়নের ৫’শ বিঘা ফসলী জমি ও বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দুই শতাধিক গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
গতকাল এলাকা ঘুরে দেখা যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো কেউ আতœীয়ের বাড়ি আবার কেউ সরকারি রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে। ভাঙন মুখে চরমভাবে হুমকিতে রয়েছে চরবন্দর খোলা মাদ্রাসা ও চর বন্দর খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুটি প্রতিষ্ঠানের ভবন বিল্ডিং এর একাংশ রয়েছে নদী গর্ভে দেখা গিয়েছে। নদীতে বিলীন হওয়ার ঝুকিতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ভবনের মধ্যে থাকা শিক্ষা সামগ্রী। এছাড়াও ভবনের থেকে খুলে ফেলা হয়েছে লোহার গ্রীল,দরজা,জানালা।
চরবন্দর খোলা ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মাহফুজুল হাসান বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে ভাঙনের তীব্রতা থাকায় থাকায় দুটি টিনসেট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমান অফিস কক্ষের বিল্ডিং এর একাংশে ভাঙন ধরেছে। যে কোনো মুহুর্তে পুরো ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন,পাঠদান তৃতীয় তলা ভবন নিয়ে শঙ্কিত রয়েছি। নদের ভাঙন আরও বেগমান হলে সেটিও বিলীন হতে পারে বলে জানিয়েছেন।
চর বন্দর খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নিজামদ্দিন আকন বলেন, ভাঙনে তার স্কুল অত্যান্ত ঝুকিতে রয়েছে। নদীর গর্ভে বিল্ডিং ভবনের একাংশ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে ক্লাশ নেওয়া হবে।
চরমানাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী বলেন, ভাঙন প্রতিরোধের জন্য দিনরাত ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এরপরও ভাঙন থামছে না। নদী তার গতিতে নিয়মিত ভাঙছে। ভাঙনে বিলীন হওয়া ৬৫টি পরিবারের ঘটনার সত্যতা জানিয়েছেন।
ভাঙন প্রতিরোধের বিষয়ে পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহামুদ উপজেলার ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগের ডাম্পিং কাজ চলছে। গত সপ্তাহ ধরে এ সকল এলাকায় নদী ভাঙন না থাকলেও হঠাৎ করে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি ও তীব্র ¯্রােতে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৪হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আবু এহসান মিয়া বলেন, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ অর্ধশতাধিক পরিবার কে জেলা প্রশাসনের ত্রান তহবিল থেকে সাহায্য করা হয়েছে।