২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সংঘবদ্ধ বিকাশ প্রতারক চক্রের মূল হোতা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তুহিন(২৭) পলাতক রয়েছে। সে সদরপুর উপজেলার সতেররশি গ্রামের গাউস বেপারীর পুত্র। তুহিনের সদরপুর হাসপাতাল মোড় এলাকার লিগ্যাল ফার্নিচারের একটি শোরুম রয়েছে। র্যাবের অভিযান টের পেয়ে সদরপুর থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। ওই সংঘবদ্ধ চক্রের অপর দুই সদস্যকে ফরিদপুর র্যাব-৮ এর অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে জেলার টেপাখোলা এলাকা থেকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, ভাটি লক্ষীপুর গ্রামের ও সদরপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মেকানিক্স মোঃ আব্দুল মালেক মীরের পুত্র মোঃ লিটন মীর(২৮) ও কোতয়ালী থানার ফরিদাবাদ গ্রামের মোঃ লাল মিয়া প্রামানিকের পুত্র মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ(২৮) সে টেপাখোলা এলাকার বিকাশ এজেন্ট মা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী।
জানা যায়, র্যাব-৮,সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্পের আভিযানিক দলের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন এর নেতৃত্বে আজ বুধবার ১৮জুলাই সকাল ৯টার দিকে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন টেপাখোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারনা চক্রের ২সদস্য কে আটক করে। আটককৃতদের নিকট হতে বিকাশ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান মোবাইল ফোন, সিম কার্ড জব্দ করা হয়। আটককৃত ২জন সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভুয়া বিকাশ একাউন্ট খুলে ফরিদপুরের সদরপুর ও কোতয়ালী এলাকায় সংঘবদ্ধ বিকাশ প্রতারক চক্রের সহায়তায় ফরিদপুরের সালথা থানার মোঃ নূরু মোল্যার ব্যক্তিগত বিকাশ একাউন্ট হতে প্রায় ১২হাজার টাকা গত ১৫-০৭-১৮ইং তারিখে প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। তদপ্রেক্ষিতে সে ফরিদপুর জেলার সালথা থানায় একটি জিডি করেন এবং র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের সহযোগিতা কামনা করেন। সালথা থানার জিডি নং-৫৮২,তাং-১৬-০৭-১৮ইং। এর পর তাদের ধরতে মাঠে নামে ফরিদপুর র্যাব-৮। আটককৃতদের ফরিদপুর জেলার সালথা থানায় হস্থান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলার সালথা থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাব প্রেস সুত্রে।