ফলোআপঃ সদরপুরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণে থানায় মামলা,আটক ধর্ষক মুক্তার
মোঃ সাব্বির হাসান.সদরপুর. ১৫ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ২:৩৭ জাতীয়
শিশু ধর্ষনের দায়ে আটক হওয়া মুক্তার শিকদার
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের চৌদ্দরশি গ্রামে গত শনিবার (১৪)জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সদরপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষিতার বাবা গিয়াস উদ্দিন মুন্সী বাদী হয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই গ্রামের গ্রামের মর্তুজা শিকদারের পুত্র মুক্তার শিকদার(৩৫) এর বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ওইদিন রাত ১২টার দিকে চৌদ্দরশি গ্রামে অভিযান চালিয়ে সদরপুর থানার পুলিশ মুক্তার শিকদারের প্রতিবেশীর এক বাড়ি থেকে তাকে আটক করে সদরপুর থানায় নিয়ে আসে। রাতে থানায় জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বলে জানিয়েছেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ইন্সপেক্টর তদন্ত) কর্মকর্তা সুব্রত গোলদার। আজ রোববার সকালে আসামী মুক্তার শিকদার কে ফরিদপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ইন্সপেক্টর তদন্ত কর্মকর্তা সুব্রত বলেন, শনিবার দুপুরে ধর্ষনের ঘটনার সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ বিশেষ নজরদারী রাখে আসামীর উপর। রাতে থানায় মামলা দায়ের করার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলার বিভিন্ন মহল স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের কারনে তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার সর্বোচ্চ বিচার দাবী করেছেন। আজ রোববার ২য় সাময়িক পরীক্ষা ছিলো স্কুল ছাত্রীর।উল্লেখ্য, সদরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের ১৪রশি গ্রামের মর্তুজা শিকদারের পুত্র মুক্তার শিকদার (৩৫) একই গ্রামের দরিদ্র কৃষক গিয়াস উদ্দিন মুন্সীর স্কুল পড়ুয়া পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে একা বাড়িতে পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই সময় শিশুটি আর্তচিৎকার করলে তাকে মেরে ফেলার জন্য ভয় দেখায়। ঘটনার সময় ধর্ষিতার মা ও বাবা কৃষি কাজে ফসলি জমিতে ব্যস্ত ছিল। মা বাবা বাড়ীতে এসে প্রথমে মেয়েকে ডাকাডাকি করলে কোনো উত্তর না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পায় মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান দেখতে পায়। পরে বাবা মার আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এরপর শিশুটিকে সদরপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার আফরোজা আক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর ওয়ান স্টপ ক্র্যাইসিস সেন্টার (ওসিসি)তে প্রেরণ করে। বর্তমানে ফরিদপুরের ওই সেফ হোমে রয়েছে শিশুটি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সদরপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ওমর ফয়সাল।এ ব্যাপারে সদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম বাবুল জানান, বিষয়টি সর্ম্পকে আমি অবগত হয়েছি। এব্যাপারে মামলা দায়ের করেছে ধর্ষিতার পরিবার।
সংবাদটি এ পর্যন্ত পড়েছেন 824 জন পাঠক
