২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার | বাংলা কনভার্টার
সারাদেশে তীব্র ভ্যাপসা গরমে নগরবাসী যখন অতিষ্ঠ তখন একপশলা বৃষ্টি অনেকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীসহ সারাদেশে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে কমেছে গরমের তীব্রতা।সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌসুমের সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে গতকাল। এই তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে আবহাওয়া অফিসের এমন পূর্বাভাস দিয়েছিল। এতে আতঙ্কে ছিল নগরবাসী। সারারাত গরমের তীব্রতায় অনেকে ঘুমাতে পারেননি। তবে নগরবাসীর জন্য স্বস্তির বার্তা নিয়ে আসে সকালের একপশলা বৃষ্টি। ভোর থেকেই আকাশে লক্ষ্য করা যায় মেঘের আনাগোনা। সূর্যের আলোর দেখা মিলেনি। এক পর্যায়ে মেঘে ঢেকে যায় পুরো আকাশ। আজ সকাল আটটার দিকে সদরপুর উপজেলা ও এর আশপাশের উপজেলা গুলোতে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি না হলেও তা ছিল স্বস্তির। গরমের তীব্রতা অনেকটা কমে যায়। এই সময়ে বৃষ্টিটা প্রয়োজন ছিল বলে অনেকে মন্তব্য করেন। এদিকে ঈদের ছুটির পর রাজধানীতে যাওয়ার জন্যে অনেকে চরবলাশিয়া,ভাঙ্গা,কাওড়াকান্দি নৌঘাট এলাকায় খানিকটা বিড়ম্বনার শিকার হতে পারেন। নগরীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। অনেকে সকালে এসে ঢাকায় নেমে বৃষ্টির মুখোমুখি হন। এতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েন। তবে গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষার কারণে এই ভোগান্তি সবাই হাসিমুখে মেনে নেন। সোমবার রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবারের মৌসুমে রাজধানীতে গরমের তীব্রতাও ছিল এদিন সবচেয়ে বেশি। তবে ঈদের ছুটির কারণে রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা থাকায় কিছুটা সহনীয় ছিল পরিবেশ। গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয় রাতে। ফ্যানের নিচে বসেও অনেককে অনবরত ঘামতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও লোডশেডিংয়ের কারণে অসহনীয় হয়ে উঠে জীবন।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে বয়ে চলা মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আর সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আবহাওয়াবিদরা অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। বলেছিলেন পশ্চিমা একটি লঘুচাপ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজ করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। এর প্রভাবে দেশের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। সেই পূর্বাভাসই সত্যি হলো। কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি এনে দিলো নাগরিক জীবনে স্বস্তি।