২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামের ১৪বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে ৪জনের নাম উল্লেখ করে সদরপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে। আসামীরা হলেন, একই গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র মোঃ কাওসার(২০) প্রধান আসামী, ইউসুফ বেপারীর পুত্র সুমন বেপারী(২০), সহিদুল ইসলামের পুত্র সাগর হোসেন(২১) ও পিতা অজ্ঞাত সোহান(২০)। চার আসামীর কাওকেই এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি সদরপুর থানা পুলিশ।
মামলা এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ৩জুন কিশোরী তার প্রতিবেশি শাহজাহান খালাসীর বাড়ি থেকে ওইদিন সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে কিশোরী তার বাড়ি ফিরছিল।
পরে আমিরাবাদ খালপাড় এলাকায় পৌছালে মোঃ কাওসার ও তার সহযোগী আর তিনজন নিয়ে পথরোধ করে ওরনা দিয়ে মুখ বেঁধে অপহরণ করে পাশের একটি মেহগুনি বাগানে নিয়ে যায়। পরে কিশোরী কে মোঃ কাওসার শেখ জোরপূর্বক জামা কাপড় খুলে ধর্ষণ করে। ওই সময় ধর্ষনের সহযোগিতা করেন তার বাকি বন্ধুরা। ধর্ষণ শেষে কিশোরীকে ফেলে রেখে গেলে অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়ি ফিরে সে। এ নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকের আশ্বাস দিলে এলাকায় এ নিয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। এলাকার সালিশদের কালক্ষেপনে পরে ৫দিন পর মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ২০০৩সালের নারী ও শিশু নির্যাচন দমন আইন অপহরণ করে ধর্ষন ও সহায়তা করার অপরাধে এ মামলা রুজু হয়েছে।
গতকাল সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রুত গোলদার বলেন, কিশোরীকে ফরিদপুর ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)তে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্যে। আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের ধরতে পুলিশের সকল ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো আসামী ধরা সম্ভব হয়নি। আশা করি স্বল্প সময়ে আসামীদের ধরা সম্ভাব হবে।