২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার | বাংলা কনভার্টার
ঈদুল ফিতরের আর মাত্র ২দিন বাকি। ঈদকে সামনে রেখে এখন জমে ওঠেছে ঈদের বাজার। রমজানের শুরুতে ঈদের কেনাবেচা কম হলেও শেষসময়ে এসে জমজমাটভাবে চলছে ঈদের কেনাকাটা। সদরপুর উপজেলার বিপণি বিতান, ফ্যাশন হাউজ, ছোট বড় মাকের্ট গুলোতে তিল ধারণের ঠাই নেই এখন। সর্বত্রই লোকে লোকারণ্য।
সরেজমিনে উপজেলা শহরের ফ্যাশন হাউজ গুলোর সর্বত্র ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। রোজার প্রথম দিকে ক্রেতাদের আনাগোনা তেমন না থাকলে এখন দোকানগুলোতে তিল ধারণের ঠাই নেই। ঈদকে সামনে রেখে মার্কেটগুলো বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করায় সর্বত্রই উৎসবের আমেজ।সকাল ৯টা থেকে শুরো কওে রাত্র ১২-১টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকছে । অনেকে মনে করেন ইফতারের আগে ভিড় কম থাকে, তাই তারা বিকাল বেলাতেই বাজার করেন। অনেকে সারাদিন রোজা রেখে বাজারের ঝাক্কি পোহাতে চান না। তাই ইফতারের পর রাতের বেলায় শপিং করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।
বিক্রেতারা জানান, রমজানের শুরুতে আমাদের ব্যবসা আশানুরুপ না হলেও এখন যে ক্রেতা সমাগম হচ্ছে তাতে আমরা অনেক খুশি। ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমরা আধুনিক ও ভালো মানের কাপড়ের কালেকশন রেখেছি। আশা করি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এভাবে বা এর থেকেও ভালো বিক্রি আমরা দিতে পারবো।
ক্রেতারা পছন্দ অনুযায়ী ড্রেস, শাড়ী, বাচ্চাদের পোশাক, শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, জুতা, কসমেটিক্স, জুয়েলারি বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে যাচাই করে কিনছেন। অনেকের পছন্দ ব্র্যান্ডের পোশাক, তাই তারা যাচ্ছেন ব্র্যান্ড শপগুলোতে, আবার অনেকের পছন্দ ভারতীয় কাপড়ের দিকে তাই তারা ছুটছেন নন ব্র্যান্ডেড শপগুলোতে।
ঈদের বাজার করতে আসা আবুল কালাম ,মুন্সী আঃ রব বলেন, বছর ঘুরে আবার সামনে আসছে ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগাভাগি করে নিতে আগেভাগেই পরিবারের সবার জন্য নতুন কাপড় কিনে নিয়েছি। এখন নিজের জন্য কিনছি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে এবারের ঈদ করার ইচ্ছে তাঁর।বিক্রেতারা এবার বেশি দাম রাখছেন বলে অভিযোগ করে বলেন, অন্যবারের তুলনায় এবার একটু বেশি দাম মনে হচ্ছে কাপড়গুলো। আবার দাম অনুযায়ী সেরকম মানেরও মনে হচ্ছে না। উচ্চবিত্তদের এতে সমস্যা না হলেও আমাদের মত নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য একটু হিমশিম খেতে হয়।