২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় আগের চেয়ে ঈদ উৎসবে বিদ্যুৎতের ভেল্কিবাজী বেড়েছে দফায় দফায়। আর কত লোডশেডিং হলে বিদ্যুৎত কর্তৃপক্ষের খাটতি পূরন হবে? গত কদিন ধরে একদিকে যেমন ভ্যাপসা গরম, অন্যদিকে বেড়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। পাশাপাশি চলছে অতিরিক্ত লোডশেডিং। বিদ্যুৎ না থাকার যন্ত্রনা আর তাপদাহে সৃষ্ট গরমে অতিষ্ঠ এখন সদরপুরবাসী।
দিন ও রাতে একাধিকবার দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় উপজেলায় প্রাত্যহিক জীবনযাপন থেকে শুরু করে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিশেষ করে ঈদ বাজার।
উপজেলার ওজোপাডিকো লিমিটেড সদরপুর উপকেন্দ্রের আত্ততাধীন উপজেলা শহরসহ ৮টি ইউনিয়নের সাধারন গ্রাহকরা দিন রাত ২৪ঘন্টার মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই পার করছে বিদ্যুৎবিহীন ভাবে। দিনের চেয়ে রাতের বেলায় লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে নির্ঘুম পার করছেন অনেকে।
এছাড়াও বিদ্যুত বিভ্রাট আর অতিরিক্ত লোডশিংয়ে ক্ষুদ্র্রশিল্প মালিক, টেলিকম ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় ব্যাংক থেকে রেমিটেন্স উত্তোলনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
নিয়মিত বিদ্যুত বিল পরিশোধের পরও কারনে অকারনে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং ভোগান্তিতে পড়ে চরম দুর্ভোগে ভোগ করছেন উপজেলার প্রায় ১২হাজারেরও বেশি সাধারন গ্রাহক।
সঠিকভাবে বিদ্যুত না থাকায় স্কুল কলেজে পড়–য়া শিক্ষার্থী, চাকরিজীবি,শ্রমিক,কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রতিদিন চরমভাবে দুর্ভোগ ভোগ করছেন। বিদ্যুত বিভ্রাট ও লোডশেডিং সর্ম্পকে কথা হলে সাধারণ গ্রাহকরা ও শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যুত নিয়ে ছেলেখেলা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, বিদ্যুত কখন আসে আর কখন যায় সেটা বলা বড় দায়। লোডশেডিং যন্ত্রনা অব্যাহত থাকায় দৈনন্দিন লেখাপড়াসহ স্বাভাবিক জীবন যাত্রা দুর্ভোগে দাঁড়িয়েছে। আরও জানাযায়, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় আবাসিক গ্রাহকের মিটার দ্বারা অবৈধভাবে অটোবাইকের চার্জ কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলছে এক প্রকার অসাধু ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের একটি চক্র এ অবৈধ কাজের সাথে লিপ্ত রয়েছেন বলে একটি সুত্র থেকে জানাযায়। এব্যাপারে সদরপুর উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ আলীমুজ্জানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার জন্যে কয়েকদফা ফোন দেওয়া হলেও প্রতিউত্তর পাওয়া যায়নি।