২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার | বাংলা কনভার্টার
মোঃ সাব্বির হাসান
ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশ একটি অপমুত্যুর মামলা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। পুলিশ সুপার ফরিদপুরের তত্ত্ববধানে ও দিক নির্দেশনায় নিহতের তথ্যউপাত্ত যাচাই পূর্বক সদরপুর থানার অপমৃত্যুর ১৫নং মামলাটি মাত্র ২ঘন্টা ৪৫মিনিটের মধ্যে নিষ্পত্তি করে ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে প্রেতিবেদন দাখিল করেছে সদরপুর থানা পুলিশ। পুলিশের এ দ্রুত কার্যক্রমে স্বাগত জানিয়েছেন উপজেলার বিভিন্নমহল।
সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত গোলদার এক প্রেসবার্তায় জানিয়েছেন, গত বুধবার সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের ওহেদ মোল্যা ডাঙ্গী গ্রামের মোঃ আব্দুল বেপারীর পুত্র লিটন বেপারী(২০) বসত বাড়ির ঘরের আড়ায় গলায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করে। খবরপেয়ে সদরপুর থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শওকত হোসেন ঘটনাস্থলে যায়। মরদেহটির প্রাথমিক তথ্য বিবরণী শেষে একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ।
পারিবারিক সুত্র,লিটনের বাবা জানান, তার ছেলে গত ১০/১২বছর যাবৎ পেটের পীড়া জনিত ভুগছিলেন। খাবার খেলে পেটে ব্যাথা করত। দীর্ঘদিন চিকিৎসার ফলেও ভালো হয়ে ওঠতে পারেনি। পেটব্যাথা যন্ত্রনায় মাঝে মধ্যেই আতœহত্যা করতে চাইত। গত (৯জুন) বুধবার
সকাল ৯টায় লিটনের বাবা মা ছেলেকে বাড়িতে রেখে মরিচ তুলতে যায়। বেলা ১২টার দিকে তারা বাড়ি ফিরে এলে ঘরের মধ্যে লিটনের মরদেহ ঝুলন্ত দেখতে পায়। ওই তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মরদেহটি মাটিতে নামানো হয়। পরে চিকিৎসার জন্য ইউনিয়নের নতুন বাজারের স্থানীয় ডাক্তারের নিকট নিলে তাকে মৃত বলে জানান।
এ ঘটনায় পুলিশ মাঠে নামেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানায় এসে মামলাটি নিষ্পত্তি করে ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট,২নং আমলী আদালতে প্রেরণ করে। ভিকটিমের মৃত্যুর জন্য কারো কোনো সন্দেহ না থাকায় বিনা ময়না তদন্তে লিটনে বাবার নিকট মরদেহটি হস্তান্তর করে সদরপুর থানা পুলিশ। এ ব্যপারে সদরপুর থানার ওসি সুব্রত গোলদার জানান, যে কোনো মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পুলিশ কাজ করছে। এর পূর্বেও অনেক মামলা দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ফরিদপুর সুপার সুপারের নির্দেশে জনগন যেনো কোনো ভাবেই হয়রানি না হয় সেদিক লক্ষ্য রেখেই পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।