২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুরে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় চার পুলিশসহ আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন। আহতরা সদরপুর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। সদরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি মিছিল ও সংঘর্ষ হওয়ায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করতে পারেনি সদরপুর ছাত্রলীগ।
শনিবার সকাল থেকেই থেমে থেমে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। উত্তেজনা বিরাজ থাকায় সদরপুর উপজেলার বিভিন্নস্থানে পুলিশ মোতায়ন করেছিল সদরপুর থানা পুলিশ।
সকাল ১০টায় সদরপুরের ছাত্রলীগের নতুন কমিটির উপজেলা ছাত্রলীগ এবং একই সময় সদরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে দুটি মিছিলবের হয়। বর্তমান ছাত্রলীগ কমিটির নেতৃত্ব দেন সদরপুর আ’লীগের কাজী জাফর উল্লাহ সমর্থক আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ফকির আঃ ছত্তার ও আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আবু আলম রেজা। অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দেন সদরপুর উপজেলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ। এরা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শফিকুর রহমানের সমর্থক রয়েছে।
চরম উত্তেজনা বিরাজ নিয়ে সড়কে নামেন প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের উদ্দেশ্যে দুটি গ্রুপের কর্মীরা। সদরপুর হাসপাতাল মোড় এলাকা থেকে সদরপুর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ফেরার পথে উভয় দলের মিছিল পাশাপাশি অবস্থান করে পাল্টাপাল্টি শ্লোগান দিতে থাকে।
দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রন করতে প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ সড়কে অবস্থান নেয়। মিছিল শেষে সদরপুর স্টেডিয়াম মাঠে প্রবেশ নিয়ে দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনা তীব্র আকার ধারন করলে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইট নিক্ষেপ, ধাওয়া,পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি অবনতি থাকায় পুলিশ কয়েক দফায় ২৩রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ঘন্টাব্যাপী সময় পার হলে পুলিশ পুরো স্টেডিয়াম মাঠ নিয়ন্ত্রনে নেয়।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা সার্কেল গাজী রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। পরে তিনি সদরপুর আওয়ামালীগ কার্যালয়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের লোকজনদের সাথে কথা বলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও শান্তিপূর্ন পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ মাঠে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সদরপুর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শফিকুর রহমান বলেন, কাজী জাফর উল্লাহ গত ৩১ তারিখে তাকে দেওয়া এক গণসংবর্ধানায় তিনি থানা ও ইউএনও অফিস ঘেরাও করতে বলেন। তারই জের ধরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠার নাম করে অছাত্র দিয়ে শোডাউন এবং প্রতিহিংসাত্বক আচরন চালায়। তিনি ছাত্রলীগ কে দুই ভাবে বিভক্ত করার কারনে সদরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার আয়োজন করে। তার পেটুয়া বাহিনীর লোকজন দিয়ে সাধারণ ছাত্রদের আঘাত করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আ’লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আবু আলম রেজা বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আ,লীগ কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা র্যালীবের করা হয়। হাসপাতাল মোড় থেকে মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে ফেরার পথে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমানের লোকজন হামলা করে। এ হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক সত্তার ফকিরসহ দশজন আহত রয়েছেন।
এব্যপারে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত)মোঃ আবুল খায়ের বলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করার জন্য রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। সংঘর্ষে চার পুলিশ আহত হয়েছে।