১০ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কোষাধ্যক্ষ শওকত হোসেন পরকীয়া আসক্ত হয়ে এবার নিজ স্ত্রীর হাতেনাতে ধরা খেয়েছেন বলে জানাযায়।শওকতের বড় ভাই জানান, এই ধরনের অপকর্ম এর আগেও ঘটিয়েছেন তিনি। তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ পরিবারের অন্যরা। শওকতের বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিএস ডাঙ্গী গ্রামে। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে তারাবির নামাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে মোটরসাইকেল যোগে স্বামীহারা এক নারীকে নিয়ে পাশের লোহারটেক গ্রামের জয়নাল সর্দারের বাড়িতে যান।
শারীরিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে পাশের বাড়ির এক গৃহকর্ত্রী বিষয়টি দেখতে পেয়ে জামায়াত নেতার স্ত্রীকে সব খুলে বলেন। খবর পেয়ে ওই রাতেই জামায়াত নেতার স্ত্রী ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ওই বাড়িতে উপস্থিত হন। তার আগেই দৌড়ে পালিয়ে যান জামায়াত নেতা শওকত হোসেন।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে শওকতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তার স্ত্রী।
পরে চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশরা দিনভর বিভিন্ন এলাকা তল্লাশি করেও জামায়াত নেতাকে খুঁজে পায়নি। পরে শুক্রবার বিকালে উপজেলা সদর বাজারের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হাসান ট্রেডার্স নামে নেতার রড, সিমেন্ট ও ঢেউটিনসহ তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়ে বন্ধ করে দেন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ খান।
চেয়ারম্যান বলেন, জামায়াত নেতা শওকত হোসেনের স্ত্রী ও মেয়েসহ এলাকার কিছু লোক আমার কাছে এসে বিচার দাবি করে। গ্রাম পুলিশ দিয়ে শওকতকে আটক করতে পাঠানো হলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে তার তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা মেরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যাতে করে সে আমার কাছে আসে।
জামায়াত নেতা এর আগেও এইরকম অপকর্ম করেছে বলে জনিয়েছেন তার বড় ভাই শেখ আবুল কালাম। তিনি বলেন, শওকতের একই রকম পরকীয়া সম্পর্কের বহু ঘটনা আমাদের সামাল দিতে হয়েছে। তার একের পর এক অপকর্মে পুরো পরিবারসহ আমরা সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি।
‘তার সংসারে তিনটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। তার সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি তার সন্তানদের নামে দিয়ে দিতে পারলে আমরা মুরুব্বিরা দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেতাম।’
শওককের স্ত্রী বলেন, রাতে ফোন পেয়ে মা-মেয়ে ছুটে যাই। লোহারটেক গ্রামের জয়নালের বাড়িতে শওকত ও ওই মহিলাকে দেখে আমি চিৎকার দিলে শওকত দৌড়ে পালিয়ে যায়।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাম প্রসাদ ভক্ত বলেন, আমার কাছে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।