২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার | বাংলা কনভার্টার
গতকাল রবিবার উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর পর কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। সোমবার পুলিশ তাকে জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।স্থানীয়রা জানান, রবিবার স্কুল ছুটির পর থেকে নিখোঁজ ছিলো ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় এলাকায় মাইকিং করা হয়। এ ছাড়া আশপাশের ডোবা, পুকুর ও সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ করা হয়। সন্ধ্যার পরে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হলে ইমাম হাসানের কক্ষে তল্লাশী চালায়। সেখানে খাটের নিচে হাত পা ও মুখ বাঁধা অচেতন অবস্থায় স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।এলাকাবাসী আরও জানান, হাসান ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে আসর ও মাগরিবের নামাজের ইমামতিও করেছেন।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ইমাম জানান, স্কুল ছুটির পর ওই কিশোরীকে রুমে নিয়ে যান তিনি। পরে তাকে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে খাওয়ান। এর পর মেয়েটি অচেতন হলে ধর্ষণ করে হাত, পা, মুখ বেঁধে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন হাসান।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হওলাদার জানান, ধর্ষণের কথা হাসান স্বীকার করেছেন। আর কিশোরিটি জানিয়েছে, মসজিদের ইমাম তাকে ডেকে নিয়ে শরবত খাওয়ায়। এর পরের ঘটনা তার জানা নেই।এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা। আমাদের পক্ষ থেকে ছাত্রীর পরিবারকে যতটুকু সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন আমরা দেব।’