২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার | বাংলা কনভার্টার
সাব্বির হাসান.
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক ভিপি তরিকুল ইসলাম কবির মোল্যাসহ ২১ নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত অর্ধশতাধিকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে আজ শনিবার দুপুরে সদরপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সৈকত হোসেন। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৪জন কে আটক করেছে সদরপুর থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, মোঃ তরিকুল ইসলাম কবির মোল্যা, মোঃ শফিক, হাবিবুর রহমান ও রাসেল হোসেন। আজ শনিবার বিকেল তাদের কে ফরিদপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের আটকের জন্য অভিযান রয়েছে বলে জানান মামলার বাদী উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সৈকত হোসেন।
এ ব্যাপারে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সদরপুর সরকারি কলেজগেট এলাকায় জড়ো হয়ে রাস্তায় বেড়িকেট দিয়ে যানবাহন আটকে রাখে এবং রাস্তার উপরে টায়ারে আগুন দেয় ও বিভিন্ন দোকানপাটে হামলা চালায়। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বোমা নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া করলে পুলিশ ও পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসসহ ৭রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র, বিস্ফোরিত এবং অবিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পুলিশের ৪সদস্য আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম রব্বানী মুঠোফোনে জানান, পুলিশ ষড়যন্ত্র মূলকভাবে এ মামলা দায়ের করেছে। তারা নিজেরাই ককটেল ফাটিয়েছে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে নাটক করছে। আমি এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানাই।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী বদরুজ্জামান বদু মুঠোফোনে বলেন, তরিকুল ইসলামকে আটকের পর এসব ঘটনা সাজিয়েছে পুলিশ এবং গত শুক্রবার রাতে পুলিশ আমাদের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। উক্ত ঘটনায় আমাদের কোন নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে ছিলোই না। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহা সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ককটেল বিস্ফোরণ, টায়ারে আগুন দেয়া ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার নাটক সাজিয়েছে।