www.sadarpurkhobor.com

২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার | বাংলা কনভার্টার

শিরোনাম:

অকালে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরে গেল - আরেকটি তরতাজা প্রাণ


 ফেসবুক    ৪ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার, ৯:৫৪    জাতীয়


হারুন শিকদার

ছেলেটির নাম - মামুন (২৮)! বাড়ি - রুস্তম খার বাজার, চর বিষ্ণুপুর, সদরপুর, ফরিদপুর!

আজকে বেলা সাড়ে তিন চারটার দিকে নতুনবাজার হতে চর চাঁদপুরের রাস্তার মাঝে ঢিলাডাঙী জনাব রাজ্জাক মুন্সি সাহেবের বাড়ির সামনে সামান্য বেঁকে যাওয়া রাস্তায় মুখোমুখি সংঘর্ষ নছিমনের সাথে! গাছভর্তি নসিমনের ভিতরে মোটরসাইকেল সহ নিজেও প্রবেশ। মাথার একপাশে ছিদ্র হ'য়ে বুকে প্রচন্ড রকম ধাক্কা খেয়ে - জাগায় ডেট! ঘটনার পরবর্তীতে কিছু লোকজন ছেলেটাকে চিকিৎসা সেবা দিতে ঘটনাস্থল থেকে কৃষ্ণপুরে নেওয়ার পথে নতুনবাজার বড় মসজিদ পর্যন্ত আসলে ছেলেটা মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরে। ঘটনা প্রসঙ্গে পরিচিত এক ছোট ভাই বললো - ভাই,, ছেলেটা আধাঘন্টা আগেও এ-ই দোকানে দাঁড়িয়ে একসাথে আমরা কোল্ডডিংস ( ঠান্ডা) 7UP খেলাম। এ-ই ব'লে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। যা-ই হোক, মূল কথা হচ্ছে - রাস্তার পজিশন ও গাড়ি চালানোর গতিবিধি শনাক্ত করা! এমন একটা রাস্তা, যে রাস্তাটায় একটা গাড়ির গতিবেগ সর্বোচ্চ ৪০-৪৫ কিঃমিঃ হওয়া উচিত এবং ঘটনাস্হলে যেহেতু হালকা টানিং পয়েন্ট সেক্ষেত্রে সেখানে গতিবেগ থাকা উচিত ছিল সর্বোচ্চ ২৫-৩০ কিঃমিঃ। কিন্তু উক্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে - মোটরসাইকেল এবং নসিমন দুটোরই গতিবেগ সর্বোচ্চ ছিলো, যে কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ এবং মাথায় ও বুকে প্রচন্ড আঘাতে অকালে ঝরে যায় আরেকটা তরতাজা প্রাণ! মাত্র দশদিশ মিনিট আগেও যে ছেলেটা একটি দোকানে দাঁড়িয়ে কোল্ডডিংস ঠান্ডা খেলো সুস্থ সবলভাবে, পরবর্তীতে সামান্য সময় অতিবাহিত হতে না হতেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরে গেল চিরতরে চিরদিনের জন্য না ফেরার দেশে। যে ছেলেটা অকালে হারিয়ে গেল - ওঁর কি জানা ছিলো না --- দূর্ঘটনা কবলিত হতে পারে বেপরোয়া বাইক ড্রাইফ করে? অবশ্যই জানা ছিলো এবং সুস্থ সবল ছিলো। তাহলে মা-রা যাওয়ার মূল কারণ কি? কারণ হচ্ছে - বয়সের দোষ! উঠতি বয়সের তরুণদের অকালে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরে শুধুমাত্র নিয়মবহির্ভূত বাইক চালানোর কারণে। বর্তমান সময়ের বাইকগুলো যদিও অনেক উন্নত ব্রেক সিস্টেম এবং AVS করা। যাঁর ধরুন মৃত্যু হ'য়ে যায় - একেবারেই "জাগায় ডেট" হ'য়ে। কারণ আগের দিনের বাইকগুলো ছিলো টু-স্টক, এখন ফোর স্টক পজিশন। এঁরা বিশেষকরে তরুণদের মগজে একটা বিষয়ে সবসময়ই কাজ করে - অসুবিধা কি? গাড়ি তো ফোর স্টক বা AVS করা, যেকোনো সময়ে তৎক্ষণাৎ ব্রেক কষলেই গাড়ি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে? অর্থাৎ যেকোনো সময়ে হঠাৎই ব্রেক কষলে বাইক দাঁড়িয়ে যাবে, গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এঁরা কি জানেন - একটা চলমান ফুল স্পিড গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ব্রেক কষে সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও চাই ব্রেক কষার অভিজ্ঞতা! একসাথে হার্ট ব্রেক কষার জন্য (AVS) হাত-পায়ের কোন ব্রেক কিভাবে ধরবে এবং তৎক্ষনাৎ নিয়ন্ত্রণে আসবে - বাইকটি? অজানা অনেকেরই!! দূঃভাগ্য আমাদেরই!! যাঁরা কি-না অতি আদরের সাথে অতি দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরে না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত সাহায্য করছি - ছোট্ট ভাই, সন্তানাদি সহ নানাবিধ ভালোবাসার মানুষগুলোকে! (বিশেষকরে প্রবাসী ভাই বন্ধুগণ এবং দেশের মধ্যে বসবাসরত কিছু মেকি টাকাওয়ালা ব্যক্তিগণ)!! যেভাবেই হোক, অমুকের পোলারে মোটরসাইকেল কিনা দিছে তাহলে আমার পোলা কিংবা আমার ভাই কেনো লেটেস্ট মডেলের বাইক চালাবে না? ওঁর চেয়ে - আমি কি- কম টাকা আয় করি? মনে মনে ভাবতে থাকেন - মনেহয় ওদের হতে অনেকটাই পিছিয়ে পড়া? আসলেই বিষয়টি নিয়ে বহুবার বহুভাবে ভেবেছি - উত্তর অজানাই রয়ে যায়?? শুধু এতটুকুই বলতে চাই - নিজে সেফটি থাকুন, সুস্থ সবল অবস্থায় রাস্তায় গাড়ি ড্রাইফ করুন। নিজে-ও বাঁচুন, অপরকে বাঁচতে সহায়তা করুন! বেপরোয়া বাইক চালানোর কারণে তচনচ হয়ে যাওয়া পঙ্গুত্ব বরণ করা লোকগুলো নিয়ে ভাবুন? দূর্ঘটনা কবলিত অকালে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরে যাওয়া উঠতি বয়সের তরুণদের বাঁচাতে সহায়তা করুন - আপনিও! সর্বোপরি - প্রতিটা জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক এবং উপজেলাধীন সম্মানিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ রাজনৈতিক অঙ্গনে দায়িত্বশীল সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব ও ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবদের কাছে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি - আপনারাও বিষয়টি নিয়ে ভাববেন এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন! পাশাপাশি রাস্তায় যত্রতত্র পাটসহ বিভিন্ন সময়ে ফসলাদি শুকানো চিরতরে বন্ধ ঘোষণা করবেন! কেননা - গ্রাম্য রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজে স্যাঁতস্যাতে অবস্থা তৈরি হয়ে যায় এবং এ-সব ফসলাদি রাস্তায় শুকানোর কারণে দূর্ঘটনা কবলিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে!! রক্ষা করুন - অকালে ঝরে যাওয়া উঠতি বয়সের তরুণদের! যখন-তখন সংবাদ শিরোনাম হ'য়ে যায় না যেন - হঠাৎই "জাগায় ডেট! বিঃদ্রঃ - হেলমেট পড়া থাকলে হয়তো-বা এ যাত্রায় বেঁচে গেলে বেঁচে যেতেও পারতো - মনেহয়, ছেলেটা। সবাইকে হেলমেট পড়ার বিশেষভাবে অনুরোধ করছি -।।


সংবাদটি এ পর্যন্ত পড়েছেন   440   জন পাঠক

 আরও খবর


















সর্বাধিক পঠিত

শুদ্ধাচারে ফরিদপুরের সেরা ইউএনও হলেন সদরপুরের পূরবী গোলদার
সদরপুরে সেফটি ট্যাংকিতে প্রান গেল স্বামী স্ত্রীর
ফরিদপুরে র‌্যাবের হাতে মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ কামাল হাওলাদার,মেহেদী হাসান ফয়সাল, মোঃ টুলু চৌধুরী আটক
সদরপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে ১৩জেলে কে ১বছর করে কারাদন্ড, নদী থেকে ৮কিশোর আটক
একজন নিক্সন প্রেমি রিপনের রক্তের দাগ...........
সদরপুরে ক্লাশ চলাকাশে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো নবম শ্রেণির ছাত্রী
সদরপুরে সাপের কামড়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
সদরপুরে চাউল বিক্রির অনিয়মে ডিলারের জেল
সদরপুরে ট্রাকের চাকায় নিহত হলো স্কুল ছাত্র সজীব
সদরপুরে মোটর সাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য আটক-স্থানীয় সংঘবদ্ধদের নাম প্রকাশ