১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার | বাংলা কনভার্টার
মোঃ সাব্বির হাসান.
ফরিদপুরের সদরপুরে জমিজমা বিরোধের জের ধরে কোহিনুর(৪৫)নামের এক স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা কে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের মোঃ সহিদ শিকদারের স্ত্রী কোহিনুর বেগমের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে প্রায় ১০বছর পূর্বে। এরপর কোহিনুর বেগম রোজগারের জন্য প্রবাসী হয়ে লেবালনে চলে যায়। প্রবাস জীবন শেষ করে দুই বছর পূর্বে কোহিনুর বেগম বাংলাদেশে ফিরে আসে। এলাকায় বসবাসের জন্য শৌলডুবী গ্রামের মোঃ ইউনুছ শিকদারের নিকট থেকে ১৮শতাংশ জমি ক্রয় করে কোহিনুর বেগম। ক্রয়কৃত জমির উপর একটি দোচালা ঘর নির্মান করে বসবাস শুরু করেন তিনি। আরও কিছু জমি বিক্রির কথা বলে তার নিকট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নেন বলে অভিযোগ রয়েছে ইউনুছ শিকদারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার বিক্রয়কৃত জমির দাম বৃদ্ধি হলে কোহিনুর অন্যত্র জমি নেওয়ার জন্যে বলেন ইউনুছ শিকদার। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত কোহিনুর বেগম ইউনুছ শিকদারের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো বলে জানান এলাকাবাসী। সংসার জীবনে কোহিনুর বেগমের ১৪বছরের সাকিবুল নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
আজ সকাল ১০টার দিকে ইউনুছ শিকদারের বাড়িতে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোহিনুর বেগম গেলে বাড়িতে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে ইউনুছ শিকদার ও তার পুত্র জাহিদ শিকদার। বাড়ি থেকে ছুটে দুপুরের দিকে আতœরক্ষার জন্যে ইউনুছ শিকদারের পুকুরে ঝাপ দিলে পুকুর থেকে উঠিয়ে করে পুনরায় পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় কোহিনুরের উপর। নির্যাতনে ঘটনাস্থলেই নিহতহন কোহিনুর। লাশ গোপনের খবর বিষয় জানতে পেরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে ইউনুছ শিকদার ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত গোলদার ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত কোহিনুর বেগমের লাশ উদ্ধার করে সদরপুর থানায় নিয়ে।
এ ব্যাপারে ওই এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন জানান, আমরা এ ঘটনা জানতে পেরে থানায় ফোন করি। জমিজমা বিরোধের জের প্রায় সময়ই লেগে থাকতো উভয়পক্ষের মধ্যে।
সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত গোলদার বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রাথমিক তথ্যবিবরনী শেষে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।