২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার | বাংলা কনভার্টার
মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছিলেন ফরিদপুর -৪ আসনের সাংসদ জনাব মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এবং তা এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রনে।
গত ৩০ শে ডিসেম্বর ২০১৮ অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, "আপনারা যদি আমাকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী করেন, আমি সর্ব প্রথম যে কাজটি করবো তাহলো ভাঙ্গা, সদরপুর এবং ভরভদ্রাসন থেকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে সকলকে মুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ।"
তিনি বিজয় হলেন এবং জনগণকে দেওয়া কথাও রাখলেন। ইতিমধ্যে মাদক স¤্রাট খ্যাত বেশকিছু মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় এনে তিনি প্রমাণ করলেন, জনগণকে কথা দিয়ে কথা রাখতে হয়। উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে যেভাবে মরণ নেশা মাদকের ছড়াছড়ি শুরু হয়েছে যদি অচিরেই নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংসের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাবে তা তিনি গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। তাইতো তিনি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
এম পি নিক্সন চৌধুরীর এই কঠোর হুশিয়ারির ফলে রাস্তাঘাট, পাড়া মহল্লা, হাট-বাজারে মাদকাসক্তদের আনাগোনা এখন আর তেমনটা চোখে পড়েনা। মাদকসেবীরা ও ইতিমধ্যে বুঝে নিয়েছেন, নিক্সন চৌধুরী জনগণকে যে কথা দেন তা তিনি রাখেন। আর এজন্যই ইতিমধ্যে মাদকের বিক্রয়, ক্রয়ক্ষমতা ও ব্যবহার অনেকটা নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে।
দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পর পর দুইবারই বিপুল ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। তাঁর প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জনাব কাজী জাফর উল্লাকে পরাজিত করে ইতিমধ্যে তিনি সাধারণ জনতার বুকে শক্তভাবে স্থান দখল করে নিয়েছেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি এলাকার বিপুল পরিমাণ উন্নয়ন করেছেন যা বিগত ৪৭ বছরেও হয়নি বলে জনসাধারণ মনে করেন। প্রবাসীদের পক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে কথা বলেছেন বেশ জোড়ালো ভাবে। যা পৃথিবী জুড়ে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় আর এজন্য প্রবাসীরাও এম পি নিক্সন চৌধুরীর প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রীজ, বিদ্যুৎ, সড়ক, মহাসড়কের ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি অসহায়ত্বদের জন্য ব্যাপক সাহায্য ও সহযোগিতা করেছেন একান্ত উদারভাবে। যেখানেই কারো বিপদের কথা শুনেছেন ছুটে গেছেন সাহায্য করেছেন এবং শান্তনা দিয়েছেন। গরীব, দুখী ও মেহনতী মানুষকে দেখলেই গাড়ি হতে নেমে তিনি বুকে টেনে নিয়েছেন একান্ত আপন করে। তাঁর ভালোবাসা ও সুখ্যাতি সকলের মুখে মুখে ছড়িয়ে যায় অতি সহসায়। তাইতো এম পি নিক্সন চৌধুরীকে দেখে ছোট বাচ্চাদের মুখে শোনা যায়, "দোস্ত কেমন আছো? কোথায় যাও?"
ছোট পাঁচ বছরের শিশুকে দেখে থমকে দাঁড়িয়ে যান, কথা শোনেন এবং বুকের গভীরে আগলে ধরেন এম পি নিক্সন চৌধুরী।
তাইতো তাকে বিশ্বাস ও আস্থার মূর্ত প্রতীক হিসেবে বেছে নিয়েছে ফরিদপুর -৪ আসনের আপমার জনসাধারন। তিনি এই উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিক উন্নয়নের কথা ভেবেছিলেন অনেক গুরুত্বের সাথে। তাইতো তিনি বলেছিলেন, "আমার এই উন্নয়ন কোন কাজে আসবেনা যদি না আমার জনগণ মরণ ব্যাধি মাদকের হাত থেকে রেহাই না পায়।"
তিনি আরও বলেন,"আমি যদি মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদেরকে নির্মুল করতে পারি তাহলে আমার এই উন্নয়ন কাজে আসবে এবং আগামীতে একটি সুখী ও সুন্দর ভবিষ্যৎ আমরা ফিরে পাবো।"
এম পি নিক্সন চৌধুরী তাঁর সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্যে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সঠিক ও সুন্দর পথে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সমাজে বিরাজমান সংঘাতের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।