১৯ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার | বাংলা কনভার্টার
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ৬নং কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বিল্লাল হোসেন ফকির ও তার ভাই ফরিদপুর জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইনজামামুল হক ওরফে মিঠু কে দেখতে কারাগারের দর্শনার্থী কক্ষে প্রতিদিন খন্ড খন্ড করে তার সমর্থকরা দেখা করছেন। কারাগারের অন্য আসামীদের মধ্যে বর্তমানে কারাগারে থাকা এই দুই ব্যক্তির স্বজনরা বেশী সাক্ষাত করছেন বলে জানাগেছে। কারা ফটকের চত্ত্বরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন এবং আশপাশের ইউনিয়নের লোকজন কে দেখা যাচ্ছে। কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী চারজনের একটি গ্রুফ করে সকাল ১১টার পর থেকে দেখা করছেন। প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক সমর্থকও তাদের আতœীয় স্বজনরা সাক্ষাত করছেন। কারাগারে থাকা চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়ের জামিনের ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আবেদন দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানান তাদের স্বজনরা।
জানা যায়, মোঃ বিল্লাল হোসেন ফকির তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। বর্তমানেও তিনি নির্বাচিত রয়েছেন। এছাড়াও তার ছোট ভাই ফরিদপুর জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট হিসাবে রয়েছেন। আজ শনিবার কারাগারে চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাত করে এসে সাগর আহম্মেদ দুলাল মুন্সী জানান, চেয়ারম্যান বলেছেন কোনো সমস্যা নেই। তিনি ভালো আছেন। তার সমর্থকদের ভালো থাকতে বলেন। এছাড়াও তিনি শারীরিক মানষিক ভাবে ভালো আছেন বলেও আরও জানান।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ২৭জুন-২০১৮ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিল্লাল হোসেন ফকির ও তাঁর ভাই ইনজামামুল হক জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে জেলা জজ মো. হেলালউদ্দিন এ আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত গত ১৬ এপ্রিল কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের হাটকৃষ্ণপুর বাজারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান পক্ষ এবং তার প্রতিপক্ষ আখতারুজ্জামান ওরফে তিতাস মিয়া এর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটনা। এ সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন আখতারুজ্জামানের সমর্থক পাশের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের মান্নান সিকদার। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বোরহান সিকদার গত ১৭ এপ্রিল বাদী হয়ে সদরপুর থানায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলাদায়ের করেন। এ মামলার এজাহাভুক্ত আসামি ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা বিল্লাল হোসেন ফকির ও তাঁর ভাই ইনজামামুল হক। এ মামলার পর বিল্লাল হোসেন ফকির ও তাঁর ভাই হাইকোর্ট থেকে দুই মাসের জন্য অন্তবর্তিকালীন জামিন নেন।